#শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি পুরনির্বাচনে (Siliguri) ফের বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতায় জট! জট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই ৪৭টির মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে কংগ্রেস (Congress)। একাধিক ওয়ার্ডে লড়াই হবে চতুর্মুখী। অর্থাৎ সামনে সামনে লড়বে বাম (Left) এবং কংগ্রেস।
২০১৫-তে কংগ্রেসের জেতা ৪ আসনে প্রার্থী দেয়নি বামেরা। সেগুলি হল ৭, ১৬, ২১ এবং ২৫ নং ওয়ার্ড। তবে বামেদের জেতা আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৩, ৫, ১২, ১৪, ১৫, ২২, ২৬, ৩৩, ৩৯ এবং ৪২। বাইশের লড়াইয়ে ১২টি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের লড়াই বামেদের সঙ্গেও। ১২টি আসনে সম্মুখসমরে বাম-কংগ্রেস। গতকাল আরও ৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বামেরা। মুখোমুখি লড়াই হবে ৩, ৫, ১২, ১৪, ১৫, ২২, ২৬, ৩৩, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ নং ওয়ার্ডে। নিজেদের অবস্থান নিয়ে সুর নরম করেনি কোনও পক্ষই।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা বিজেপির! প্রার্থীপদ না পাওয়ায় বিক্ষোভ
কংগ্রেসের দাবি, দলের অস্তিত্ব রক্ষা না করে তো আর আসন সমঝোতা হবে না। তেমনই বামেরাও নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রেখেই চলবে। আশ্চর্যের হল, ২৬ নং ওয়ার্ড গতবার ছিল বামেদের দখলে। এবারেও তারা প্রার্থী দিয়েছে। আর এই ওয়ার্ড থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী করেছে জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারের কন্যাকে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বাইশের পুরযুদ্ধেও সেই 'গুরু' বনাম 'শিষ্যের' লড়াই
এ দিকে আজ প্রার্থী বদলঔও করেছে বামেরা। ৪৫ নং ওয়ার্ড থেকেই লড়ছেন বিদায়ী কাউন্সিলর মুন্সি নুরুল ইসলাম। ৪৭-এ প্রার্থী করা হল মুকুল সেনগুপ্তকে। আগে ৪৫-এ মুকুলকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে ৭ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয়নি বাম এবং কংগ্রেসের কেউই। এই আসনটি ২০১৫-তে জিতেছিল কংগ্রেস। অনেক আগেই বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সমঝোতা রক্ষায় বামেরা প্রার্থী দেয়নি।
তবে দু' পক্ষেরই দাবি, আসন সমঝোতা হচ্ছে। এখনই হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আলোচনার রাস্তা খোলা। বলছেন শঙ্কর মালাকার। ফের বাম-কংগ্রেস বৈঠকের সম্ভাবনা। তার আগে বামেরা বৈঠকে বসছে। সমঝোতায় যে জট রয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। তবে সমঝোতা ভেঙে যাচ্ছে, এমনটা মনে করার কিছু নেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।