#শিলিগুড়ি: কামতাপুর আন্দোলনের অন্যতম পথ প্রদর্শক অতুল রায় হার মানলেন করোনার কাছে। ১৯ দিন লড়াই করলেন কোভিডের সঙ্গে। আর পারলেন না। আজ দুপুরে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অতুল রায়। পৃথক কামতাপুর রাজ্য এবং কামতাপুরী ভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবীতে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। মূলত এই দুই দাবীকে সামনে রেখে ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে পথ চলা শুরু করে কামতাপুর পিপলস পার্টি বা কেপিপি। যা গড়ে তোলেন অতুল রায়। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়কে জোটবদ্ধ করে তোলেন। বাম আমলে উত্তরবঙ্গজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমেই আন্দোলন তীব্র হয়। উত্তরবঙ্গ তো বটেই, নিম্ন অসম এবং লাগোয়া কয়েকটি জেলা মিলিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনই ছিল আন্দোলনের লক্ষ্য। আইন অমান্য, রেল রোকো, পথ অবরোধ, অনশন, বনধ সবই হয়েছিল অতুল রায়ের নেতৃত্বে। ২০০৭-এ পাহাড়ে পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্যের দাবীতে আবির্ভাব হয় বিমল গুরুংয়ের। ফের মাথাচাড়া দেয় অতুলের নেতৃত্বে কেপিপি। যৌথভাবেও আন্দোলন হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষমতা নিয়ে বিভক্ত হয় কেপিপি শিবির। একদিকে অতুল রায় গোষ্ঠী, অন্যদিকে নিখিল রায় গোষ্ঠী। আলাদা হয়ে নতুন দল গঠন করেন অতুল রায়। নাম দেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি বা কেপিপি। তবে বদলায়নি আন্দোলনের স্লোগান। বদলায়নি আন্দোলনের রূপরেখাও। উত্তরবঙ্গে কামতাপুর, রাজবংশী আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অতুল রায় আজ আর নেই। কোভিড কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ।
Deeply saddened at the demise of Atul Roy who was serving as the Vice Chairman of Kamtapuri Bhasha Academy. I offer my heartfelt condolences to his family and loves ones.
His dedicated & continuous fight for the people of North Bengal will always be etched in our hearts.
প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয় প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে। তারপর গত ২৪ মে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ভর্তি করা হয় মাটিগাড়ার অন্য একটি বেসরকারী হাসপাতালে। স্থিতিশীলই ছিলেন। ক্রমেই শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। আজ দুপুর দেড়টায় মৃত্যু হয় কামতাপুর আন্দোলনের নেতাকে। নিজেদের দাবী আদায়ে কখনও তৃণমূল, কখনও বা বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছে কেপিপি। পরবর্তীতে তাদের দাবী মেনে মুখ্যমন্ত্রী তৈরী করেন কামতাপুর চাষা আকাদেমী। যার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন প্রয়াত অতুল রায়।
তাঁর মৃত্যুতে ট্যুইট করে শোক জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নার্সিংহোমে যান গৌতম দেব। শেষ শ্রদ্ধা জানান মাটিগাড়ার বিজেপি বিধায়ক আনন্দ বর্মনও। সকলেই বলেন, উত্তরের রাজনীতিতে নক্ষত্রের পতন হল। শূন্যতার সৃষ্টি হল। শোকতপ্ত তাঁর অনুগামীরা। নার্সিংহোমে ভিড় জমান অতুল অনুগামীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।
Published by:Suman Majumder
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।