#জলপাইগুড়ি: ‘জলপাইগুড়ি থেকে এনো কই জিওনো’। রবি কবির জন্মদিনে ফিরে দেখা সহজপাঠকে। দামোদর শেঠকে মনে করে ঝোল, ঝাল, পাতুরি আর তেল কই-য়ে কবি প্রণাম। জলপাইগুড়ি শহরের পোস্ট অফিস মো়ড়ে সাধারণ ভাতের হোটেলে এক অন্য কবি -স্মরণ।
জলপাইগুড়ির সঙ্গে বিশ্বকবির বহু পুরনো যোগ। সালটা ১৯৩১। নোবেল জয়ের পর মংপু যান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মংপু থেকে ফেরার পথে কবিকে দেখে জনস্রোত নামে জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে। সেখানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় রবি কবিকে। মানুষের চাপে পাঁচ মিনিট দাঁড়ায় ট্রেন। আর তার জন্য সেদিন শোকজ করা হয়েছিল স্টেশন মাস্টারকে।
খাদ্যরসিক ছিলেন বিশ্বকবি। সহজ পাঠের দামোদর শেঠ কবিতায় কবি লিখেছিলেন, ‘জলপাইগুড়ি থেকে এনো কই জিওনো’। জলপাইগুড়ির সেই সুস্বাদু জিওয়োনো কই আর আছে কিনা তাই নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে কবির এই কই-প্রীতিকে তাঁর জন্মদিনে নতুন করে মন করলেন হোটেল মালিক সন্ধ্যা রায়। আটপৌড়ে সন্ধ্যা জলপাইগুড়ি শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে ফুটপাথে ভাতের হোটেল চালান। সেই হোটেলে মঙ্গলবার ছিল বিশ্বকবির পছন্দের কই-মেনু।
ঝোল। ঝাল। পাতুরি। তেল-কই। সঙ্গে রবি স্মরণ। খুশি খদ্দেররা। কবিকে জন্মদিনে নিজের মত করে মনে করতে পেরে খুশি সন্ধ্যাও। গবেষকরা বলেন , জলপাইগুড়ি রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তঁর লেখায়, কবিতায়, বার বার উঠে এসেছে জলপাইগুড়ির নাম। কবির জন্মদিনে তাঁর প্রিয় শহরে এক অন্য রবীন্দ্র জয়ন্তী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।