#জলপাইগুড়ি: কুকুরের মুখ থেকে হরিণকে বাঁচিয়ে বন দফতর এর হাতে তুলে দিল গ্রামবাসীরা। ফের লোকালয় থেকে হরিণ উদ্ধার। মঙ্গলবার সকাল বেলা একটি বাড়ির ভিতরে আচমকা একটি হরিণকে দেখতে পায় বাড়ির মালিক। নিমেশের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ার কুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ঝাড়আলতা জমাদার পাড়া সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন জমাদার পাড়ার বাসিন্দা বিমল রায়ের বাড়িতে হঠাৎই হরিণ ঢুকে পড়ে। হরিণটির পিছনে বেশ কয়েকটি কুকুর ধাওয়া করেছিল প্রাণে বাঁচতে। হরিনটি বাড়ির বাথরুমে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তার পরিবারের লোকেরা পড়ে সেই হরিণকে তাড়া করতেই বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে। এর পর খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াড এবং নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীদের। বনকর্মীদের পৌঁছতে দেরি দেখে পরিবারের লোকেরা হরিণটিকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেই বাড়িতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন হরিণ দেখতে।
কখনও চিতাবাঘ, কখনও বা হাতি এলাকায় চলে আসে। আবার কখনও বিরাট অজগর। এভাবে বারবার বন্য পশুর লোকালয়ে চলে আসায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। এইভাবে বারংবার বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসায় স্থানীয় মানুষেরা দাবি জানিয়েছেন বনদফতরকে নজরদারি করার জন্য ।
এদিকে হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান নাথুয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। পরে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের হাতে তুলে দিলে হরিণটিকে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের বিট অফিসার রাজীব চন্দ্র বলেন, "হরিণটি গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের জমাদার পাড়াতে ঢুকেছিল। গ্রামবাসীরা সেটাকে কুকুরের হাত থেকে বাঁচিয়ে আমাদের হাতে তুলে দেয়। আমরা লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাই,সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।"
SEKH ROCKY CHWDHURY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri