#রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ করোনা আবহে মৃৎ শিল্পীদের মাথায় হাত। আর দুই সপ্তাহ পড়ে বিশ্বকর্মা পুজো। অন্যান্য বছর গুলিতে এই সময়ে রায়গঞ্জ কাঞ্চনপল্লীর মৃৎশিল্পী পড়াতে মৃৎশিল্পীদের চরম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেলেও এবারের তার উল্টো চিত্র। প্রতিমার বায়না নামা না থাকায় বসেই বসেই দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।
শরতের আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা জানান দিচ্ছে পুজো আসছে। আর মাত্র ক'দিন বাকি বিশ্বকর্মা পুজো তার আগে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী রা কেমন আছেন তার খোঁজ নিতেই বেরিয়ে ছিলাম আমরা। তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম প্রতিবছর তারা প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ বিশ্বকর্মা প্রতিমা বানানো কিন্তু এবার করোনা আবহে তারা প্রতিমা বানিয়েছেন ৩০থেকে ৪০ টি। যে কটি প্রতিমা বানিয়েছেন তার বেশির ভাগই বায়না হয়নি। ফলে দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। কারণ এই প্রতিমা বানিয়ে যে রোজগার টুকু হত তা দিয়েই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করতেন মৃৎশিল্পীরা।
অন্যদিকে রায়গঞ্জের বিগ বাজেটের বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্যে অন্যতম রায়গঞ্জ বেসরকারি বাস স্ট্যান্ডের আইএনটিটিইউসির বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতিবারেই মহাধুমে এই বিশ্বকর্মা পুজো হয়।কিন্তু এবার তারা এখনও সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি। পুজো কিভাবে করবেন এই সময় পুজোর প্রস্তুতি প্রায় ৮০% সম্পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু এবার তাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ। অন্যান্যবার তারা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ও দুস্থদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন এবার লকডাউন এর ফলে যাদের কাছে তারা চাঁদা নিতেন তাদের কাছে তারা সেই আশা করতে পারছেন না। ফলে নমো নমো করে পুজো সারবেন বলে জানিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।