#রায়গঞ্জ: স্বামীকে পাওয়ার দাবিতে শ্বশুড়বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন স্ত্রী।ঘটনাটি রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নুড়িপুর গ্রামের। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শ্বশুড়বাড়ির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই মহিলার সঙ্গে তাঁদের কোন সম্পর্ক নেই। তবে পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা মিথ্যা কথা বলছেন।
রায়গঞ্জ থানার নুড়িপুরের বাসিন্দা আরশাদ আলি ২০১৯ সালে ১৭ জানুয়ারি ওই গ্রামের বাসিন্দা পারভিনা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তাঁরা রায়গঞ্জে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গতমাসে আচমকাই আরশাদ আলি নিখোঁজ হয়ে যান। বহু খোঁজাখুজির পরেও পারভিনা তাঁর স্বামীর খোঁজ না পেয়ে শ্বশুড়বাড়িতে হাজির হন। শ্বশুড়বাড়ির সদস্যরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য ১৫ দিন সময় চেয়ে নেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে পারভিনা পঞ্চায়েতেও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর স্বামীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি পারভিনাকে ডিভোর্স করে দিয়েছেন।
পারভিনার দাবি, একক সিদ্ধান্তে সরকারিভাবে ডিভোর্স করা যায় না। শ্বশুড়বাড়ি সদস্যরা তাঁকে জানিয়েছেন যৌথ সাক্ষর করেই ডিভোর্স করা হয়েছে। ডিভোর্সের সরকারি কাগজ পারভিনার ফোনে পাঠিয়েছে স্বামী আরশাদ। ১৫ দিন পরও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বুধবার রাত থেকে স্বামীর বাড়ির গেটের সামনে ধর্নায় বসেন স্ত্রী পারভিনা।
আরশাদের দাদা বসিদুর আলম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাই বাড়িতে থাকে না।সে কোথায় আছে তার কোনও খোঁজ নেই। ফলে বাড়িতে আরশাদের কোনও অধিকার নেই। যদিও শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা যাই বলুক, সেকথা মানতে নারাজ পারভিনা। তাঁর সাফ কথা, স্বামীকে না পাওয়া পর্যন্ত বাড়ির সামনেই বসে থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে গৌরী গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আয়ুদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, মহিলাদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করাই আরশাদের কাজ। আগেও একটি বিয়ে করেছিল আরশাদ। ফলে পারভিনার কথা ভেবে বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
Uttam Paul