#দার্জিলিং: বনধের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে পঞ্চমীতে ছন্দে পাহাড়। সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিতে রবিনারই যৌথভাবে পথে নামে জেলা প্রশাসন ও মোর্চার একটি বড় অংশের সমর্থকরা। বনধ তুলতে পাল্টা স্লোগান ওঠে। নিরাপত্তার আশ্বাসে খুলে যায় দার্জিলিঙের বাজার। মোটরস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয় গাড়ি চলাচল।
অন্যদিকে, চাপে পড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কোণঠাসা গুরুংপন্থীরা। গতকাল লেবংয়ে একটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।
বনধ তুলতে পাল্টা স্লোগান। পাহাড়ে এমন ছবি বেনজির। তারই সাক্ষী হল গোটা রাজ্য। বনধ সমর্থকদের দেখা নেই। কিন্তু, উপস্থিতি জিইয়ে রাখছে তারা। রবিবারই, লেবং থেকে শিলিগুড়িগামী একটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। তাতে অভিযোগের তির গুরুংপন্থীদের দিকেই। বনধপন্থীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই অবশ্য দার্জিলিঙের মোটরস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি চলাচল জারি রয়েছে। এদিনই, পাল্টা পথে নামে প্রশাসন। সঙ্গে ছিলেন মোর্চা সমর্থকদের একটি বড় অংশও। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্ত।
প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে একে একে খুলতে শুরু করে দার্জিলিঙের চকবাজার, জজবাজার। মোটরস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয় গাড়ি চলাচল। এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। স্বাভাবিক, মিরিক, কার্শিয়ং, ও কালিম্পং। তাল মিলিয়ে, পাহাড়ে বনধ অমান্য করার ভিড় এখন বাড়ছে। এদিন থেকে পাহাড়ের হোটেলগুলিও একে একে খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে । ফলে, গুরুংশিবিরের ওপর তৈরি হচ্ছে পাহাড়প্রমাণ চাপ।