#মিরিক: নাগাড়ে বৃষ্টি। কখনও হালকা। কখনও বা মাঝারী আবার কখনও ভারী বৃষ্টি। সূর্যের দেখা নেই। মুখ ভার। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। সে পাহাড় থেকে সমতল, সর্বত্র দিনভর বৃষ্টিভেজা! একেবারে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। আর টানা বৃষ্টির জেরে ফের ধস নামলো মিরিকে। মহকুমার দখলি গ্রামে বড় ধস নামে। এর জেরে গোটা এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। দুধিয়া থেকে নলডারা যাওয়ার পথেই পাহাড়ী গ্রাম দখলি। বিপাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূর্ত দফতরের কর্মীরা। ধস সংস্কারের কাজে হাতও লাগানো হয়। কিন্তু বৃষ্টির জেরে ব্যহত হয় ধস সরানোর কাজ।
অন্যদিকে মিরিক ও শিলিগুড়ির সংযোগকারী ১২-এ রাজ্য সড়কও বিপর্যস্ত। তিন জায়গায় রাস্তা অনেকটাই ধসে গিয়েছে। কার্যত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এই তিন জায়গায় একমুখী যান চলাচল করা ছাড়া উপায় নেই। মিরিকের গয়াবাড়িতে রাজ্য সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাস্তায় ধীরে গাড়ি চালানোর নোটিশও দিয়েছে পূর্ত দফতর। মিরিকের মহকুমা শাসক অশ্বিনী রায় জানান, টানা বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে কয়েক জায়গায়। কিছু জায়গায় সরানো হয়েছে। রাজ্য সড়কও বিপদজনক হয়ে পড়েছে। যান চলাচলের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি রয়েছে। বৃষ্টি না কমলে ধস সরানোর কাজে গতি আসবে না।
এদিকে সকাল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি শৈলশহর দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পংয়ে। একেই করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলছে পাহাড়ের চার পুরসভা এবং পাঁচ গ্রামীন বাজার এলাকায়। বৃষ্টির জেরে আরও বিপাকে পাহাড়বাসী। সকলেই ঘরবন্দি। রাস্তাঘাট একেবারেই শুনশান। সে দার্জিলিংয়ের ম্যাল হোক কিংবা কালিম্পংয়ের ডেলো! কার্শিয়ংয়ের মোটর স্ট্যাণ্ড সর্বত্রই খাঁ খাঁ করছে। লোকের দেখা নেই।
এদিকে সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি শিলিগুড়িতেও। কখোনো ঢিমেতালে তো আবার কখোনো মুষলধারায় বৃষ্টি চলছে। যার জেরে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটে তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। শুনশান সুকনাও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।