#শিলিগুড়ি: কথা রাখেননি বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অনীত থাপা-রা। তাই বিনয়পন্থী মোর্চা ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন জিটিএ-র অস্থায়ী কর্মীরা। কালিম্পংয়ে সংগঠনের ৮০০ জন শনিবার যোগ দিলেন ঘাস ফুল শিবিরে। বিনয়পন্থী মোর্চায় বড়সড় ভাঙন। কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পাহাড়ে ফিরতেই বড় আঘাত বিনয় শিবিরে। একেই ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। তারপর এই ভাঙন নিঃসন্দেহে বড় ক্ষতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আগে সুবাস ঘিসিংয়ের আমলে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ থাকাকালীনই বিভিন্ন দফতরে কাজে যোগ দেন কয়েক হাজার অস্থায়ী কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসার পরও সুরাহা হয়নি। ২০১১- এ পার্বত্য পরিষদ পরিবর্তে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা জিটিএ হয়। ক্ষমতায় আসেন বিমল গুরুং। টানা ৬ বছরে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি। ২০১৭-তে জিটিএ-র মসনদে বসেন বিনয় তামাং। ৩ বছরে স্রেফ ওই প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই জোটেনি অস্থায়ী কর্মীদের। স্থায়ীকরণ-সহ কয়েক দফা দাবিতে দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক এবং কালিম্পংয়ে আন্দোলন শুরু করেন কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। পুজার আগে লাগাতার অবস্থান, বিক্ষোভও চালিয়ে আসে। ফল মেলেনি। বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং দুই শিবিরের উপর আর ভরসা রাখতে পারলেন না। কেননা সবই রাজ্যের হাতে। আর মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে ভাবছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকতেই শনিবার দল বদল করলেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কালিম্পং শাখার সভাপতি কে সি রাই।
এদিন কালিম্পংয়ে দলীয় পতাকা তুলে নতুনদের স্বাগত জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী। তিনি জানান, ওদের দাবি বহু পুরনো। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানানো হবে। একুশের নির্বাচনের আগে কালিম্পংয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিল ঘাস ফুল শিবির। যেখানে নির্বাচনে অন্যতম ফ্যাক্টর হরকা বাহাদুর ছেত্রীর জাপ। সঙ্গে বিমল গুরুংয়ের ভাল জনপ্রিয়তা রয়েছে কালিম্পংয়ে। সবমিলিয়ে পাহাড়ে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
PARTHA PRATIM SARKAR