#মালদহ: অভিনব পিকনিকের আসর মালদহে। পিকনিকের রান্নার সামগ্রী অর্থাৎ হাঁড়ি, কড়াই, গ্লাস- সবই মাটির তৈরী। লোহার খুন্তির পরিবর্তে রান্নার কাজে ব্যবহার হচ্ছে কাঠের খুন্তির। এমনকি, পাত পেড়ে খাওয়া দাওয়ায় 'ব্রাত্য' থার্মোকল বা প্লাস্টিকের প্লেট। পরিবর্তে কলা পাতা পেড়ে খাওয়ার আয়োজন। সব মিলিয়ে পরিবেশ বান্ধব পিকনিকের আসর মালদহে। পিকনিকে অভিনবত্ব এনে দূষণ নিয়ন্ত্রনের বার্তা দিলেন মালদহ শহরের শরৎ চন্দ্র রোডের একদল যুবক।
মালদা শহরের কাছেই পুরাতন মালদহের বেহুলা নদীর পাড়ে সোমবার দুপুরে পিকনিকের আসর বসান একদল যুবক। শহরের কাছাকাছি এই পিকনিক স্পটে ভিড় করেন পিকনিকের আরও অনেকগুলি দল। কিন্তু, পিকনিকের পর এলাকার পরিবেশ যাতে নোংরা বা দূষিত না হয়, সেজন্য অভিনব ভাবনা কাজে লাগান অপু দত্ত, সঞ্জীব রায়, চন্দন দাস, পার্থ কুণ্ডুরা। কিন্তু কেন এমন অভিনব ভাবনা? ওই যুবকদের কথায়, মালদহের কমবেশী সমস্ত পিকনিক স্পটেই এই মরশুমে দেখা যায় থার্মোকল আর প্লাস্টিকের থালা, বাটি, গ্লাস সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পিকনিক স্পট নদীর পাড়ে হওয়ায় প্রথম থেকে তাঁদের নজরে ছিল পরিবেশ ভাবনা। তাই কুমোর পাড়ায় গিয়ে কিনে আনা হয় ভাত রান্নার মাটির হাড়ি, পোড়া মাটির কড়াই, জল খাওয়ার মাটির ভাঁড়।
উদ্যোক্তাদের কথায়, মাটির এইসব সামগ্রীর দামও খুব বেশী নয়। তবে সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য হল, মাটির পাত্রে রান্নার স্বাদ। সবজি, মাছ, মাংস, ভাত সবই সুস্বাদু আর উপাদেয়। যুবকদের কথায়, থার্মোকলের বা প্লাষ্টিকের পরিবর্তে খাবার সময় কলা পাতা ব্যবহার করাতেও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। কলার পাতা মাটিতে মিশে জৈবসারে পরিণত হবে।
এদিন যুবকদের পরিবেশ বান্ধব পিকনিক দেখতে ভিড় করেন আশেপাশের অন্যান্য পিকনিক পার্টির লোকজনও। তাঁরাও উদ্যোগকে স্বাগত জানান। মালদহে এমন পিকনিকে খুশী পরিবেশ প্রেমীরাও। দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, প্রশাসন প্রচার চালালেও অনেকেই পরিবেশ নিয়ে মাথা ঘামান না। এ নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কিন্তু, এই যুবকদের দল যে দিশা দেখিয়েছেন তা উদাহরন স্বরূপ। এভাবে অন্যরা এগিয়ে এলে পিকনিক স্পট গুলিতে পরিবেশ রক্ষা অনেক সহজ হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Eco friendly picnic, Maldah