#জলপাইগুড়ি: পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক নতুন প্রকল্প চালু হচ্ছে গজলডোবায়। তিস্তা নদীতে হাউস বোটিং চালুর পাশাপাশি অর্কিড বাগানও গড়ে তোলা হবে। রাজ্য পর্যটন দফতরর নয়া প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
ভোরের আলো ইতিমধ্যেই পর্যটকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে গজলডোবায়। শীতের লম্বা ইনিংসের সুবাদে নৌকাবিহার থেকে ভোরের আলোয় তিল ধারনের জায়গা থাকরে না। পর্যটকদের ভিড় দেখেই পর্যটন দফতর বেশ কিছু নতুন প্রকল্প নিচ্ছে।
তবে আপাতত গল্ফ জোন হচ্ছে না। পরিবর্তে প্রথম দফায় ৫ একর জমিতে তৈরী হচ্ছে বার্ড জোন। নানা চেনা, অচেনা পাখির দেখা মিলবে সেই বার্ড জোনে। দেশ-বিদেশের পাখির কলরবে ঘুম ভাঙবে গজলডোবার। ফি বছরেই শীতে পরিযায়ী পখির ঢল নামে গজলডোবা ব্যারাজে। সেইকথা মাথায় রেখেই বার্ড জোন তৈরীর ভাবনা বলে পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৭ একর জমিতেই দেখা মিলবে রঙ বেরঙের পাখির। তৈরী হচ্ছে অর্কিড পার্ক। পাহাড়ী অর্কিডের দেখা মিলবে এই পার্কে। নৌকা বিহারের পাশাপাশি চালু করা হবে হাউস বোটিং। প্রথম দফায় দুটি হাউস বোট আনা হবে। নদীর বুকেই বোটিংয়ের মজায় মাততে পারবেন পর্যটকরা। একদিকে বেঙ্গল সাফারি পার্ক, অন্যদিকে গজলডোবায় একদিনে ঘোরার জন্য জঙ্গলের বুক চিড়ে নতুন রাস্তাও তৈরী হয়েছে। যা সহহেই সাফারি পার্ক থেকে গহন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পৌঁছে যাবে ভোরের আলোয়।
পিলখানাও তৈরী। আনা হয়েছে কুনকি হাতিও। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেলেই গজলডোবায় চালু হবে হাতি সাফারি। বিনোদনের পাশাপাশি পরিকাঠামোর মানোন্নয়নেও জোর দিচ্ছে প্রশাসন। গজলডোবায় তৈরী করা হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। পুলিশ ফাঁড়ির নতুন বিল্ডিংও গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সেইসঙ্গে এলাকায় মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরী করা হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে। দিন দিন এলাকায় পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে। হাসি ফুটছে স্থানীয়দের। দূর্গাপুরের পর গজলডোবায় চালু করা হচ্ছে হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট। আর তাতেই বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। সবমিলিয়ে ধাপে ধাপে উন্নয়নের মোড়কে সাজছে গজলডোবা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Gajoldoba, Jalpaiguri