হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
রাস্তার ধারের কাউন্টারের ফ্রিজে মজুত জল! পথচলতি মানুষের জন্য এই সুবিধা...

রাস্তার ধারের কাউন্টারের ফ্রিজে মজুত জল! পথচলতি মানুষের জন্য এই সুবিধা...

Representative Image

Representative Image

  • Last Updated :
  • Share this:

    #শিলিগুড়ির: রাস্তায় চলতে গিয়ে খিদে পেয়েছে? তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ? কুছ পরোয়া নেই। শর্মাদের পাবলিক ফ্রিজার আছে তো। সেখানে সকলের জন্য খাবার, জল মজুত। শুধু বলার অপেক্ষা। দুঃস্থদের জন্য রয়েছে পোশাক, জুতোও। শিলিগুড়ির প্রধাননগরে নজর কাড়ছে চিকিৎসক দম্পতির ডিভাইন ব্লেসিং। এ কী দোকান? না কী কাউন্টার? আসলে এ এক ইচ্ছেপূরণের গল্প। গরমে গলা শুকিয়ে গেলে, রাস্তার ধারের কাউন্টারের ফ্রিজে মজুত জল। থরে থরে সাজানো বোতলবন্দি ঠান্ডা জল। ফ্রিজ ভরতি নানা ধরণের খাবার । পাউরুটি, আচার, জ্যাম, জেলি, লস্যি, ফল। নানা ধরণের ফাস্ট ফুড। শুকনো খাবার। পথচলতি মানুষজন ইচ্ছে করলেই, সেখান থেকে যা ইচ্ছে তুলে নিতে পারেন। কেউ কিচ্ছু বলবে না।

    শিলিগুড়ি তিন নম্বর ওয়ার্ডের প্রধাননগরের গুরুংবস্তিতে ভানুভক্ত ক্লাবের পাশেই এই পাকাপোক্ত কাউন্টার। ফ্রিজের গা ঘেঁসে আলমারি। তাতে ঠাসা পোশাক, জুতো। সবই সেকেন্ড হ্যান্ড। তবু পুজোর আগে রং ফিকে হয়ে যাওয়া জামা, প্যান্টেই দুঃস্থ, ভবঘুরেদের মুখে হাজার ওয়াটের আলো। পাবলিক ফ্রিজের উদ্যোগ শিলিগুড়ির চিকিৎসক দম্পতি চন্দ্রপ্রকাশ ও নীরু শর্মার। দুবাইয়ে গিয়ে এই কনসেপ্টের সঙ্গে পরিচয়। তারপরই নিজের শহরে ঈশ্বরের আশীর্বাদের ভাবনা।

    শর্মা দম্পতি নিজেরাই জোগাড় করছেন সব কিছু। চেয়েচিন্তেও আনছেন কিছু। ফ্রিজ ভরাতে সাধারণ মানুষের সাহায্য চাইছেন । অনেকেই এখন কাউন্টারে শুকনো খাবার রেখে যাচ্ছেন। দিয়ে যাচ্ছেন পুরোন জামাকাপড়। কেউ রেখে যাচ্ছেন। কেউ প্রয়োজনে নিয়ে যাচ্ছেন। সকাল ন’টায় খোলে কাউন্টার। বন্ধ হয় সন্ধে সাতটায়। জনতার ফ্রিজের দেখভালের দায়িত্বে দুই কর্মী। দুর্মূল্যের বাজারে দুর্মূল্য মানসিকতায় ব্যতিক্রমী শিলিগুড়ির চিকিৎসক দম্পতি।

    First published:

    Tags: Fridge, North bengal news