#রায়গঞ্জ: সংবাদ চ্যানেল খুললেই রাজনৈতিক দলের মধ্যে বচসা, পরস্পরকে আক্রমণ। এসব শুনতে শুনতে একঘেয়ে লাগতে শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু এর মাঝেও রয়েছে মন ভালো করা খবর। যা দেখলে অনবরত রাজনৈতিক বচসা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়।
তরণী মহন্ত। বাড়ি রায়গঞ্জ থানার কাশীবাটীতে। লোকশিল্পী হিসেবেই তিনি পরিচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উৎসব কিংবা সরকারি প্রকল্পে লোকগান গেয়ে প্রচার করেন তিনি। তিনি নিজেই গান লেখেন ও সুর দেন। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ময়দানে নেমে পড়েছেন। কেউ খেলা হবে গান বাজাচ্ছেন। কেউ আবার টুম্পা সোনা গান বাজাচ্ছেন। এসব শুনে তরণীবাবু বসে থাকতে পারেননি।
এসমস্ত গানের বিরুদ্ধেই কলম ধরেছেন তিনি। কারণ এরাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। যা তাঁকে ভীষনভাবে ভাবাচ্ছে। করোনা আবহের সময়ে তিনি নিজে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা চাক্ষুস করেছেন। তাঁদের এই দুর্দশার কথা এবারের নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দল গুরুত্ব দিচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের মানুষের কর্মসংস্থান কীভাবে হবে সে কথা তুলে ধরছে না বলে দাবি তাঁর।
রাজনৈতিক দলগুলির মুখে শুধুমাত্র খেলা হবে স্লোগান । এছাড়াও রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দলবদলের খেলা। আজ একদল, তো কাল আবার অন্য দল। দলের পরিবর্তন হলেও মানুষের পরিবর্তন হচ্ছে না। ফলে রাজ্যে এসব সংবাদ দেখে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তরণীবাবু এসবরের বিরুদ্ধেই গান গেয়ে এলাকায় প্রচার করছেন।
ইতিমধ্যে তরণীবাবুর গান মানুষের মধ্যে সাড়াও ফেলেছে। তরণীবাবু জানান, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলই মানুষকে আশার আলো দেখাতে পারছে না। প্রতিদিনই নেতারা দলবদল করছেন। রাজ্য জুড়ে দলবদলের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এছাড়াও মানুষের কর্মসংস্থানের কথা কোনও রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে শোনা যাচ্ছে না। টুম্পা সোনা আর খেলা হবে এই গানেই মেতেছেন রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা একটাই। তরণীবাবুর বক্তব্য, মানুষের তাঁর গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের আগে সমস্ত কিছু ভেবেচিন্তে ভোট দেওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলি মানুষকে বোকা ভাবলেও কেউ বোকা নন। রাজ্যের মানুষকে সচেতন করার জন্যই তিনি এই গান বেধেছেন।
উত্তম পাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Khela Hobe, Raiganj