মালদহ: মালদহের বামনগোলা ব্লকের একাধিক তৃণমূল নেতার ইস্তফা। শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার পরেই পদ ছাড়লেন বামনগোলার পাঁচ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি। নেতৃত্বের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলে ইস্তফা। ইস্তফা দিলেন জগদলা অঞ্চল সভাপতি নারায়ন মন্ডল, পাকুয়াহাট অঞ্চল সভাপতি শ্যামল মন্ডল, চাঁদপুর অঞ্চল সভাপতি সাহেব হাঁসদা, বামনগোলা অঞ্চল সভাপতি তফিউর রহমান এবং গোবিন্দপুর- মহেশপুর অঞ্চল সভাপতি মানিক মাহাতো। একইসঙ্গে পাঁচ অঞ্চল সভাপতির ইস্তফা ঘিরে জোরচর্চা। বুধবার বিকেলে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে ইস্তফাপত্র পাঁচ অঞ্চল সভাপতির। দলে মর্যাদা না পেলে বিকল্প ভাবতে হবে মত ওই তৃণমূল নেতাদের।
ব্লক নেতৃত্বের ইস্তফাকে আমল দিতে নারাজ মালদহে তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন করে অঞ্চল ও ব্লক কমিটি গঠন করার জন্যই ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল, প্রাক্তন সভাপতিদের দাবি তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকারের।
উল্লেখ্য, মালদহে দলের তরফে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় মালদহের সংগঠনের দেখভাল করেছেন শুভেন্দু। মালদহে নিচুতলা পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর বহু অনুগামী রয়েছেন। বামনগোলা ব্লক যে বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই হবিবপুর বিধানসভায় ২০১৬ বিধানসভা ভোটে দুই হাজারের বেশি ভোটে হেরে যায় তৃণমূল। সেইসময়ে হবিবপুর বিধানসভায় সিপিএমের টিকিটে জেতেন খগেন মুর্মু। আবার ২০১৯ সালের বিধানসভা উপনির্বাচনে হবিবপুর বিধানসভায় ৩০ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি। বামনগোলা ব্লক বা হবিবপুর বিধানসভায় বিজেপির সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতাদের এদিনের ইস্তফা জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে। যদিও পদ ছাড়লেও এখনই সরাসরি দল ছাড়ার কথা বলেননি পদত্যাগী নেতারা। তবে একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব মর্যাদা না দিলে বিকল্প ভাববেন বৈকি।
-সেবক দেবশর্মা