#বহরমপুর: বৃহস্পতিবার ফারাক্কা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ ভিত্তিক কর্মীসভায় এসে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ক্রমশ এগিয়ে আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। গত পাঁচ বছর ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব হিসেবে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর বৃহস্পতিবার ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ দুটি জনসভা করেন ফিরহাদ হাকিম।
ফারাক্কার কর্মীসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, "পাঁচ বছর পর মনে হল আমি সম্মান পাচ্ছি না! তাই বিজেপি তে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছে, তাঁকে বলা হতো মমতা বন্দোপাধ্যায় এর দূত। আর শুভেন্দু অধিকারীর মতো তৃণমূল ত্যাগী নেতাদের অবস্থা হবে খাওয়ার পরে ইউজ এন্ড থ্রো ঠান্ডা পানীয় ক্যানের মতোই।"
এদিন তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, "বাংলায় বর্গীরা এসেছে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে। সাম্প্রদায়িকতার বিভাজন বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।" এছাড়া সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি পুরো ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, "বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করতে পারে তৃণমূল। সেই কারণেই দল ছেড়ে তৃণমূল দলে যোগদান করছে অনেকেই। কারণ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সাম্প্রদায়িকতাকে কখনও প্রশ্রয় দেননি। কংগ্রেসের ক্ষমতা নেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করার।"
তিনি আরও বলেন, "সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করলে আন্দোলনের সময় ফরেনের ছুটিতে যেতেন না রাহুল গান্ধী। লড়াই করতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতো কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হবে। আর সেটাকেই লড়াই বলে। কিন্তু কৃষক আন্দোলনে রাস্তায় কৃষকদের মৃত্যু হচ্ছে, আর সেই সময়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী চলে যাচ্ছেন ছুটিতে বিদেশে। দিল্লিতে বসে মন্তব্য করেই লড়াই হয় না। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করা উচিত।"