#রায়গঞ্জ: জমির অনুখাদ্য তৈরী আড়ালে জাল কীটনাশক তৈরীর কারখানার হদিস পেল উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তর।কারখানার মালিক ভবেশ রায় জাল কীটনাশক তৈরীর কথা স্বীকার করলেন।অভাবের কারনে এই কাজ করছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। কৃষি দপ্তর কারখানাটি সীল করার পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রায়গঞ্জ থানার কসবা এলাকার বাসিন্দা ভবেশ রায় ওই এলাকায় একটি জমির অনুখাদ্যের কারখানা তৈরী করেছিলেন। সম্প্রতি সেই কারখানায় জাল কীটনাশক ওষুধ তৈরী করে বিভিন্ন নামিদামি প্যাকেট কিনে এনে সেই প্যাকেটে জাল কীটনাশক ওষুধ বাজারে বিক্রি করছেন।এতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা কসবার ভবেশবাবুর কারখানায় হানা দেয়। কারখানার মালিক কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের কারখানায় ঢুকতে বাধা দেন বলে অভিযোগ।কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের কারখানায় ঢুকে চক্ষু চরক গাছ।
কারখানার ভেতরে বালির সঙ্গে রঙ মিশিয়ে কীটনাশক ওষুধ তৈরী করা হচ্ছে। বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানীর প্যাকেট এনে সেই ওষুধ বাজারে বিক্রি করছেন।‘ভবেশবাবু যে অনুখাদ্য তৈরী করছেন সেগুলো জমির ক্ষেত্রে কতখানি বাস্তব সন্মত আছে সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে’, বলে জানিয়েছেন কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিপ্লব কুমার ঘোষ।
বিপ্লববাবু জানিয়েছেন,কারখানা সীল করার পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হবে। অভিযুক্ত ভবেশবাবু জানিয়েছেন,করোনা আবহে উৎপাদিত জিনিস বেচাকেনা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে এসে দাড়িয়েছেন।এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতেই তিনি এই অসৎ উপায়ের সাহায্য নিয়েছিলেন। বালি এবং রঙ মিশিয়ে কীটনাশক ওষুধ বলে বাজারে বিক্রি করছিলেন।মাস খানেক হল এই কাজ করছেন বলে ভবেশবাবু স্বীকার করেছেন। হরেন বর্মন নামে এক কৃষক জানালেন কৃষি দপ্তরে এই অভিযান কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচালেন।তারা না বুঝেই এই জাল কীটনাশক ওষুধ নিতেন। সেই ওষুধের কাজ হবে না তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন কৃষকরা।
Uttam Paul
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fake pesticide