হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
প্রথমে খুন, তারপর ভাইয়ের দেহ থেঁতলে নিজেই শ্রাদ্ধ করে দাদা! তবু শেষরক্ষা হল না

প্রথমে খুন, তারপর ভাইয়ের দেহ থেঁতলে ফেলে নিজেই শ্রাদ্ধ করে দাদা! তবু শেষরক্ষা হল না...

মালদহে হাড়হিম করা ঘটনা

মালদহে হাড়হিম করা ঘটনা

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক সফিকুলের সঙ্গে নিজের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতো দাদা।

  • Share this:

সেবক দেবশর্মা, মালদহ: ভাইকে খুন করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেহ লোপাট করা হয়। মুখ থেঁতলে বিকৃত করে দেহ ফেলে আসা হয়েছিল বাড়ি থেকে বেশকিছুটা দূরে ভুট্টার খেতে। শুধু তাই নয়, দেহ উদ্ধারের পর মৃতদেহের সৎকার থেকে শ্রাদ্ধশান্তি সবই করেছিল দাদা। ভাইয়ের খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তবু শেষ রক্ষা হল না। ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর নাটকের যবনিকাপাত। ধরা পড়ে গেল সব অভিনয়। শেষ পর্যন্ত ভাইকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দাদা। মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের সুলতাননগর এলাকার ঘটনা।

পিটিয়ে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে। খুনের ঘটনার প্রায় ২৫ দিন পর রহস্যের কিনারা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভাড়োল গ্রামে ভুট্টার ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় সফিকুল ইসলামের মৃতদেহ। প্রথমদিকে মুখ বিকৃত থাকায় দেহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। মনে করা হয়েছিল লাগোয়া বিহারের কোনও এলাকা থেকে মৃতদেহ এনে ফেলা হয়ে থাকতে পারে এলাকায়। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন ওই মৃতদেহ সুলতাননগর এলাকার ফুটকিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সফিকুলের। পরিবারের লোকজন দেহ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের পর দেহের সৎকারও হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: শান্তনুর ফোনেই সব রহস্য, এবার বড় কিছু ঘটবে! শুভেন্দুর দাবিতে পাল্টা 'আপনি কোথায় থাকবেন'?

আরও পড়ুন: কলকাতার ৩ ক্যাফেতে ঘটেছে সেই বৈঠক, শান্তনুর সঙ্গে কোন নেতার? জেনে গেল ইডি

এরপর পুলিশি তদন্তে জানা যায়, পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক সফিকুলের সঙ্গে নিজের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতো দাদা। এনিয়ে বিবাদের জেরে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করার পর, কাছেই ভুট্টার ক্ষেতে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের দাবি, ধরা পড়ার পর ঘটনার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত দাদা শেখ আসারুল। ধৃতকে বুধবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয় আদালতে।

এদিকে খুনের ঘটনা কিনারা হওয়ার পর হইচই পড়ে এলাকায়। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্তে ধৃতের স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলা হবে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরে তদন্তের গতি বাড়ানো হয়। তদন্তের বাকি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Published by:Rachana Majumder
First published:

Tags: Crime News, Malda