#উত্তর দিনাজপুর: এপ্রিল বা মে মাসে ভিড় জমায় পরিযায়ী পাখিরা। এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস। কিন্তু দূষণের কবলে ক্রমে নাব্যতা হারাচ্ছে কুলিক নদী। মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খাবারের অভাবে কমছে পরিযায়ীদের সংখ্যাও। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে নদী বাঁচাতে তৎপর রাজ্য সরকার। শ্রমিক নামিয়ে চলছে নদীর নাব্যতা বাড়ানোর কাজ।
ওপেন বিল স্টর্ক, নাইট হেরন, কর্মোনেন্টাল ইগ্রেট। মোটামুটি এপ্রিল-মে নাগাদ উত্তর পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে পরিযায়ীদের উড়ে আসা শুরু। তারপর তাদের ডাকাডাকিতেই সরগরম হয়ে থাকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাস। এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এই পক্ষিনবাস ঘিরে পর্যটকদেরও উৎসাহ প্রচুর।
কিন্তু পলি পড়ে বা দূষণের গ্রাসে ক্রমে গভীরতা কমছে কুলিক নদীর। মাছের অভাবে ভিড় কমছিল পরিযায়ীদের। তাই ১০০ দিনের প্রকল্পে কুলিক নদীর নাব্যতা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
কুলিক বাঁচাতে উদ্যোগ ------------------------ - প্রকল্পে ১৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ - কুলিক নদীর একাধিক জায়গায় খননকাজ - রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার ব্লকে খননকাজ - নদীর পাশে জলাশয় তৈরি - জলস্তর স্বাভাবিক করতে জলাশয় তৈরি
১০০ দিনের কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় মানুষদের। খুশি শ্রমিকরাও।নদীর দূষণ রোধেও তৎপর রাজ্য সরকার। নদীর পাশে দূষণ ছড়ানোয় ধরা পড়লে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলি সরিয়ে জলে ভরে উঠবে কুলিক। পরিযায়ীদের কূজনে ভরে উঠবে পক্ষীনিবাসও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।