মালদহ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় সফর করছেন বিজেপি নেতারা। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বর্তমানে তিনি রয়েছেন মালদহে। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ ঘোষ। বিভিন্ন প্রশ্নে তিনি যা বললেন,
১) প্রসঙ্গ সিপিএম ও ত্রিপুরা ভোট: একসময় সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গে ৩৬ জন সাংসদ ছিল। এখন জিরো। বিধানসভায় আমরা ২৩০, ওঁরা ৩০ বলে এখন একটাও নেই। ত্রিপুরাতেও তাই হয়েছে। একটা কেরালা রয়েছে টিমটিম করে, সেখানেও তাই হবে। ভারতীয় সিস্টেম ও জীবনপদ্ধতি বাদ দিয়ে রাজনীতি করলে মানুষ তা স্বীকার করবেন না। ত্রিপুরাতেও সবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেখতে পারে সিপিএম। তাতে তাদের অবস্থাও একইরকম হবে।
২) প্রসঙ্গ একডাকে অভিষেককে ফোন করলে বিরোধীদের দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়নের ব্যবস্থার আশ্বাস অভিষেকের: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একথা ত্রিপুরায় গিয়ে বলুন না। পিসি- ভাইপো টাকার থলি নিয়ে ঘুরে বেড়ালেন ত্রিপুরা, অসম, গোয়া। এমএলএ, এমপি দূরের কথা একটা পঞ্চায়েতও জেতাতে পারেননি। ত্রিপুরার মানুষ ঝামা ঘষে দেবে। এসব ডায়লগ দেবেন না। যেদিন পুলিশ আর গুন্ডারা সরে যাবে, সেদিন রাস্তায় মানুষ জামা প্যান্ট খুলে নেবেন। 'এক ডাকে অভিষেক' -এসব ঢপের কীর্তন। দিদিকে বলো-তে কেউ দিদির সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন? জঙ্গলমহল আর উত্তরবঙ্গ কিছু পায়নি। তাই আলাদা হতে চাইছে। কুশাসনের জন্যই এমন হয়েছে মত দিলীপের। পশ্চিমবঙ্গের নাম এখন কাটমানির জায়গা।
আরও পড়ুন: যা ভাবছিলেন, তা নয়! বাংলার আবহাওয়ায় এবার বিরাট পরিবর্তন! ফের শীতের স্পেল?
৩) প্রসঙ্গ অমর্ত্য সেন: দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, মোদি হটাও দেশ বাঁচাও যাঁরা বলেছিলেন, তাঁরাই এখন হটে গিয়েছেন। এখন অমর্ত্য সেনের সার্টিফিকেট নিতে হচ্ছে। যে লোকটাকে কেউ মানেই না। কেউ পোঁচেও না। বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন। মানে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। সব জমি চোররা এক হয়ে গিয়েছে। অমর্ত্য সেন জমি দখল করে রেখেছেন। তিনি ওই জমির দলিল দেখান। নিজে জমির দখল করেছেন, আর চোখ রাঙাচ্ছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে?
৪) প্রসঙ্গ কেন্দ্রীয় দলের তদন্ত: আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি, লুঠ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্ত করছে। সরকারের একটা সিস্টেম আছে, কিছু তদন্ত এগিয়েছে। না হলে এত লোক কী করে জেলে গেলেন, এত টাকা আগে কখনও দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় দল আসছে মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি আসার পরেই পার্টির কাছে খবর পৌঁছেছে। পার্টির নেতারা ট্রাক্টর, গাড়ি, ধান কাটার মেশিন সব লুকিয়ে রাখছেন। নেতারা সব লুকিয়ে পড়েছেন। এমনকী প্রধান, উপ প্রধানদেরও আর পাওয়া যাচ্ছে না। কতদিন পালিয়ে থাকবেন!
আরও পড়ুন: অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে ফিরেই কোথায় গেলেন রাজ্যপাল! রবি সকালে জোর গুঞ্জন
৫) প্রসঙ্গ পঞ্চায়েত ভোট ও সন্ত্রাস: পঞ্চায়েতে আমরা লড়াই করব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তৃণমূলের আরও কিছু নেতারা জেলে চলে যাবেন। বিহার, উত্তরপ্রদেশেও আমরা পরিষ্কার করেছি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Abhishek Banerjee, Dilip Ghosh