#রায়গঞ্জ: প্রবল বর্ষণ এবং নদীর জলস্ফিতির কারণে নৌকার চাহিদা তুঙ্গ! নৌকার যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কাঠের দোকানদারদের।নৌকার চাহিদা বাড়ায় নৌকার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। একটানা প্রবল বর্ষণে রায়গঞ্জ,করণদিঘি, ইটাহারে নদীগুলির জলস্ফিতির কারণে বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে গ্রামবাসীদের নৌকাই একমাত্র ভরসা।
লকডাউনের কারণে কাঠমিস্ত্রিদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আনলক ওয়ান চালু হতেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় হাটবাজার, দোকানপাট সব কিছুই খুলতে শুরু করে। লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষ কাঠ মিস্ত্রিদের কাজ করাতে বাড়িতে নিচ্ছেন না। সাধারণ মানুষ বাড়িতে কাজে নেই তো কী, নৌকা বানাতে গিয়ে হীমসীম খাচ্ছেন কাঠমিস্ত্রিরা৷ রায়গঞ্জ রাসবিহারী মার্কেটে দুটি কাঠের দোকানে প্রতিবছর নৌকা বানানো হয়। নৌকা বানানোর কাজ শুরু হওয়াতেই বেশ কয়েকজন কাঠমিস্ত্রি সেখানে কাজ পান। বৃষ্টির ফলে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ,করণদিঘি, ইটাহার ব্লকে বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলের তোড়ে বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।তখনই পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায় কাঠমিস্ত্রিদের। সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে নৌকার সাহায্য নেওয়া হয়।
রায়গঞ্জ রাসবিহারী মার্কেটের কাঠের দোকান গুলোতে নাওয়া খাওয়া ভুলে কাঠমিস্ত্রীরা দিনরাত নৌকা তৈরীর কাজে ব্যস্ত। নৌকার চাহিদা এতটাই বেশি যে রাসবিহারী মার্কেটে আগে দুটি দোকানে নৌকা তৈরী হত। যারা এতদিন নৌকা বানাতেন না চাহিদা ব্যাপক থাকায় তারাও নৌকা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে ৪-৫টি কাঠের দোকান এখন নৌকা বানাতেই ব্যাস্ত। একলাফে নৌকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গতবছরের তুলনায় এবারে নৌকার দাম দ্বিগুণ। রায়গঞ্জ,ইটাহার,করণদিঘি ছাড়াও বিহারের বারসই প্রতিদিন নৌকা কিনতে ক্রেতারা রায়গঞ্জে আসছেন। ক্রেতারা জানিয়েছেন, আগে এধরণের নৌকা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। বর্তমানে সেই নৌকার দাম ১৪-১৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে।বিক্রেতারা জানিয়েছেন,নৌকার আনুসাঙ্গিক জিনিসের দাম বেড়েছে, একইভাবে কাঠমিস্ত্রিদের মজুরি বৃদ্ধির কারণেই দাম বেড়েছে নৌকার। দাম বাড়ার আরেকটি কারণ নৌকার ব্যপক চাহিদাও। ফলে করোনা আবহে সর্বস্তরের মানুষ যখন আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন তখন নৌকা বিক্রেতাদের মুখে হাঁসি ফুটছে।