হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
একের পরে এক চিতাবাঘের মৃত্যু! বন্যপ্রাণের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে

একের পরে এক চিতাবাঘের মৃত্যু! বন্যপ্রাণের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে

একের পর এক চিতাবাঘের মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরা। সচেতনতার অভাবেই বাড়ছে বন্যপ্রাণের মৃত্যু, উঠছে প্রশ্ন

  • Last Updated :
  • Share this:

#শিলিগুড়ি: শহর লাগোয়া চা বাগান এবং জঙ্গল ঘেঁষা পথে একের পর এক চিতাবাঘের মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে। উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। সাম্প্রতিক কালে শিলিগুড়ির তরাই এলাকায় পর পর এমন ঘটছে বলে জানা যাচ্ছে। মাস খানেক আগে শিলিগুড়ির রাঙাপানিতে একটি চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারা হয়। সেই চিতা বাঘ নাকি গ্রামবাসীদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিল।

গ্রামবাসীদের পাশাপাশি বন দফতরের কর্মীদেরও লাঠিসোটা দিয়ে চিতাকে বেপরোয়া মারধরের ছবিও দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অন্য়দিকে গতকাল রাতে বাগডোগরার কাছে গয়াগঙ্গা চা বাগান সংলগ্ন ৩১ এর সি জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় এক পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। যার জেরে বন্যপ্রাণের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে উঠেছে। কেননা ওই এলাকা বন্যপ্রাণ পারাপারের রাস্তা। বন দফতর বেশ কয়েক জায়গায় সাইনবোর্ডও লাগিয়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করেছে। তবু হুঁশ ফিরছে না স্থানীয়দের।

এর আগে ওই এলাকায় গাড়ির সজোরে ধাক্কায় জখম হয় একটি হস্তি শাবক। মৃত্যু হয় চিতল হরিণেরও। কিন্তু কিছুতেই কমছে না গাড়ির গতিবেগ। বিশেষ করে রাতে গাড়ির গতি বাড়তে থাকে। পশুপ্রেমীরা দাবি করেছেন, রাতে গতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে বন্যপ্রাণ বাঁচানো যাবে না।

তরাই এলাকায় একটা সময়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনা প্রায়শই ঘটতো। কখোনো বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। কখোনও বা রেল লাইন পারাপারের সময়ে। সচেতনতার প্রচার লাগাতার চালানোর পর মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘর্ষের মতো ঘটনা কমেছে। এবারে চিতাবাঘের মৃত্যু রুখতেও বন দফতরকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।

বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় বন্যপ্রাণ পারাপারের এলাকা লেখা সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে লেখা সাইনবোর্ডও লাগানো হয়েছে। সাধারন মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে বলেই মনে করছেন পশুপ্রেমীরা। তাহলেই বাঁচবে বন্যপ্রাণ।

Published by:Swaralipi Dasgupta
First published:

Tags: Siliguri