#শিলিগুড়ি: অবশেষে শৈলশহরে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সমস্যার সুরাহা হল। হাসি ফুটলো কুন্দন, জুনুর মতো ব্যবসায়ীদের মুখে। যানজট মোকাবিলায় গত বছর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে হকার উচ্ছেদে নেমেছিল দার্জিলিং পুরসভা এবং পুলিশ। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ম্যাল, চৌরাস্তার আশপাশ থেকে উচ্ছেদ করা হয় পথ ব্যবসায়ীদের। শতাধিক ফুটপাত ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদের নোটিশ ধরানো হয়। এর জেরে পর্যটনের ভরা মরসুমেও আর্থিক সংকটের মধ্যে কাটাতে হয় ফুটপাত ব্যবসায়ীদের ।
এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা হকার্স ইউনিয়নের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় পুরসভা এবং পুলিশ কর্তাদের মধ্যে। আন্দোলনে নামেন হকাররা।ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়েছিলেন, দিনভর না হলেও বিকেল থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হোক। কয়েক দফার বৈঠক শেষে আজ, সোমবার বেড়িয়ে এল সমাধান সূত্র। রেহাই পেলেন ব্যবসায়ীরা। পুরসভা জানিয়েছে, বিকেল পাঁচটা থেকে ফুটপাতে ব্যবসার ডালি নিয়ে বসতে পারবে ব্যবসায়ীরা। সেইমতো আজ বিকেল থেকে স্টল বসেছে শৈলশহরে। কেউ ফুচকা, কেউ চা বা কফি, কেউ আবার মোমো, চাউমিন, আইস ক্রিমের ডালি নিয়ে বসেছেন। সন্ধে নামতেই ভিড় উপচে পড়ে বিভিন্ন ফাস্টফুডের স্টলে।
তবে, শতাধিক ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হলেও ফের ব্যবসা করার অনুমতি মিলেছে ৪০ জন ফুটপাত ব্যবসায়ীর। ভরা পর্যটন মরসুমের ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। পুরসভার সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলা হকার্স ইউনিয়নের সদস্যরা। মোটর স্ট্যাণ্ডের উলটো দিকে হকারদের বসার অনুমতি দিয়েছে পুরসভা। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগের মতো ম্যাল রোড এবং নেহেরু রোডজুড়ে বসতে পারবে না ব্যবসায়ীরা। এতে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফুটপাত ব্যবসায়ী কুন্দন দেওয়ান, জুনু সুনদাসেরা জানান, 'প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। ব্যবসা বন্ধ থাকায় সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।' বাকিরাও তাঁদের স্টল ফিরে পাবে, এই আশাতেই রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।