#দার্জিলিং: শৈলশহর দার্জিলিং। খাদের ধারের রেলিংটা! অঞ্জন দত্তের ছোটোবেলার দার্জিলিংটা! শহরের আর পাঁচটা সমস্যার মধ্যে অন্যতম যানজট। পাহাড়ী শহরে ঢোকার মুখেই পড়তে হয় যানজটে। দিন দিন বেড়ে চলেছে দু'চাকা এবং চার চাকার গাড়ির সংখ্যা। বাড়ছে দোকানপাটের সংখ্যা। সেইসঙ্গে তীব্র হচ্ছে যানজট। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবেই বাড়ছে এই সমস্যা। যত্র তত্র বাইক পার্কিং। বাদ যায়না টয় ট্রেনের লাইনও! লাইনও আটকে দু'চাকা আর চার চাকার গাড়িতে। যেন বাইক বা গাড়ি কোনোমতে রাখতে পারলেই হল! শপিং মল থেকে মোটর স্ট্যাণ্ড, স্টেশন থেলে ক্লাব সাইড সর্বত্রই একই ছবি।
সাধারন বাসিন্দা থেকে পর্যটক নাকাল হতে হয় সকলকেই। একাধীক রাস্তায় একমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও সমস্যা সেই তিমিরেই। সুফল মেলেনি। ক্রমেই বাড়ছে যানজট। ম্যালের আশপাশে গাড়ি বা বাইক পার্কিং বন্ধ করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। ট্র্যাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে পথে নামছে। জরিমানা করছে। কিন্তু যেখানে সেখানে বাইক বা গাড়ি রাখার অভ্যাস ছাড়েনি বাসিন্দারা।
আশপাশের গ্রামীন এলাকা থেকে জেলা শহরে কাজে এলে দূর্ভোগ পোহাতে হয় পাহাড়ের বাসিন্দাদের। সমস্যা কাটাতে কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ। ট্র্যাফিক পুকিশের ওসি দোরজে শেরপা জানান, মোটর স্ট্যাণ্ডে ৫০টি বাইক এবং স্টেশনে ৩৫টি বাইক পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবুও যথেষ্ট নয় বলে দাবী স্থানীয়দের। মোটর স্ট্যাণ্ডে বিকেল সাড়ে চারটের পর আর বাইক পার্কিং করা যাবে না। চার চাকার গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যে আলাদা জায়গা খুঁজছে ট্র্যাফিক পুলিশ।
পুরসভার সঙ্গে কথা বলে শহরের যানজট কাটাতে তৎপর ট্র্যাফিক পুলিশ। শৈলশহরবাসীও চায় দ্রুত যানজটের চক্কর থেকে বের হতে। বেশী সংখ্যায় পার্কিংয়ের জায়গার ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছে তারা। সমস্যা কাটাতে উদ্যোগী ট্র্যাফিক পুলিশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মতোই শহরের রাস্তায় আপন মেনে চলাফেরার পথ খুঁজছে শৈলরাণী! নিউ নর্মালে আসছে পর্যটক। দুর্ভোগ কাটাতে তৎপর প্রশাসন।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Darjeeling, Parking