#মালদহ: কাজ চলাকালীনই অস্থায়ী নদীর বাঁধে ফাটল। হু হু করে ঢুকছে জল। মালদহের সূর্যাপুরে ফুলাহার নদীর অস্থায়ী বাঁধের ঘটনা। ফের বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় রতুয়া।সেচ দফতরের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন। ওই এলাকায় প্রায় দুশো মিটার জায়গায় শালের গুড়ি ও বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরির কাজ চলছিল। রাতে ফুলহর নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় বাঁধের বালির বস্তার একাংশ ধসে যায়। লকডাউনের জন্য এবছর মাঝপথে বন্ধ ছিল কাজ। কিছুদিন আগে ফের কাজ শুরু হয়।
গতবছর ওই এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রতুয়ার একাধিক গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। এরপর শুখা মরশুমে বাঁধ তৈরির কাজ হয়নি।জানাগিয়েছে, প্রায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফুলাহর নদীর অস্থায়ী রিং বাঁধ তৈরির কাজ হচ্ছিল গত প্রায় ১৫দিন ধরে। এর আগে কাজ শুরু করা হলেও মাঝে লকডাউনের জন্য তা প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকে। সম্প্রতি এই কাজ আবার শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু, কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফুলহর নদীর জল দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সোমবার ভোররাতে বিপত্তি ঘটে। খবর পেয়ে সেচ দফতরের আধিকারিকরা এলাকায় পৌঁছোন। ফাটলে বালির বস্তা ফেলে মেরামতের চেষ্টা হয়। এর ফলে ফাটল দিয়ে জল ঢোকার পরিমাণ কমলেও ওই এলাকা দিয়ে জল ঢুকছে মরা কালিন্দী নদীতে। ফলে আগামীতে ওই বাঁধ টেকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত বছর ওই এলাকায় বাঁধ ভাঙার পর স্থায়ী কাজ করার কথা বলেছিল সেচদফতর। কিন্তু এবারও ফের বর্ষার মুখেই কাজ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঠিক বর্ষার মুখে কাজ করা হচ্ছে। এতে সরকারি কোটি কোটি টাকা জলে যাচ্ছে । অথচ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। যদিও সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বদরুদ্দীন শেখ বলেন, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় নতুন মাটি সরে যাওয়াতেই বাঁধে ফাটলের ঘটনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এবার বর্ষায় এই বাঁধ দিয়ে জল ঠেকানো সম্ভব হবে কিনা তার নিশ্চয়তা দিতে পারেননি মালদহের ওই সেচ কর্তা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।