#মালদহ: মালদহে পূর্ণভবা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া কুমিরকে ছাড়া হলো গঙ্গায়। ফরাক্কা ব্যারেজের পশ্চিম চর সংলগ্ন এলাকায় গঙ্গা নদীতে রাতে কমিটিকে জলে ছেড়ে দেন বন দপ্তরের কর্মীরা।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল, সুন্দরবনে নিয়ে গিয়ে ছাড়া হবে মালদহে উদ্ধার হওয়া কুমিরটিকে। কিন্তু পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ঠিক হয়, সুন্দরবনের নোনা জল নয়, বরং গঙ্গার মিষ্টি জলে ছাড়া হবে কুমির। গঙ্গার এই অঞ্চল কুমিরদের চলাচলের যথেষ্ট অনুকূল। শুধু তাই নয়, গঙ্গা নদীর ওই অংশে একাধিক কুমিরের আনাগোনা ও অস্তিত্ব রয়েছে বলেও জানতে পেরেছে বন দফতর। আর এই কারণেই কুমিরকে ফের নদীতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঙ্গার এই অংশকেই বেছে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওজন ২ কুইন্টাল! প্রায় অর্ধেক মাস দৌড় করিয়ে অবশেষে জালে সেই কুমির
গত ১১ নভেম্বর মালদহের মানিকচকে কালিন্দী নদীতে প্রথম এই কুমিরের দেখা মিলেছিল। এর পর মহানন্দা ও পূর্ণভবা নদীতেও কুমিরটিকে দেখা দেয়। শেষপর্যন্ত হবিবপুরের পূর্ণভবা নদীর এলাকায় প্রায় ৯ ফুট লম্বা, দুই কুইন্টাল ওজন এবং প্রায় ৩০ বছর বয়স্ক কুমিরটি বন দফতরের জালে ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাক প্যান্থার চা বাগানে? মিরিকে কালো লেপার্ডের দেখা! ভাইরাল ভিডিও
কুমিরটিকে পূর্ণভবা নদী থেকে তোলার পর কোথায় ছাড়া হবে তা নিয়ে তৈরি হয় সংশয়। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর শুরুুুু করেন মালদহের বন দফতরের আধিকারিকেরা। খবর যায় বন দফতরের উপর মহলেও। বন দফতর সূত্রে খবর, মালদহে এর আগে ২০১২, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে কুমির দেখা যায়। তবে এ বারই প্রথম কুমির উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মালদহে পূর্ণভবা নদীতে যে কুমিরটি উদ্ধার হয় তা মিষ্টি জলের কুমির। সাধারণভাবে সুন্দরবনের নোনাা জলে যেসব কুমির থাকে সেগুলি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। এই অবস্থায় মালদহে উদ্ধার হওয়া কুমিরটি সুন্দরবনে নিয়ে গিয়ে ছাড়া হলে তা ঝুঁকির হতে পারত। এই কারণেই সবদিক বিবেচনা করে ফরাক্কা ব্যারেজের কাছে গঙ্গায় ছেড়ে় দেওয়া হয়েছেে কুমিরটিকে। এর ফলে কুমিরটিও সুরক্ষিত থাকবে বলে মত বন দফতরের আধিকারিকদের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।