হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
দূর থেকে আর ৫টা সাধারণ বাড়ির মতোই লাগবে! ঘরের মধ্যে যেতেই পুলিশ যা দেখল

Crime News: দূর থেকে আর ৫টা সাধারণ বাড়ির মতোই লাগবে! ঘরের মধ্যে যেতেই পুলিশ যা দেখল

পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

Crime News: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহের রতুয়া এবং বিহারের কাটিহার জেলার আহমেদাবাদ থানার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

  • Share this:

মালদহ: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মালদহে বাংলা-বিহার সীমান্তে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ এবং বিহার পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির বেশকিছু উপকরণ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহের রতুয়া এবং বিহারের কাটিহার জেলার আহমেদাবাদ থানার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার হয়েছে দুটি সম্পূর্ণ তৈরি হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়াও কিছু অর্ধেক তৈরির অস্ত্রাংশ এবং একাধিক উপকরণ।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় নারু কর্মকার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাড়িটি বিহারের অংশ হওয়ায় অভিযানে সামিল হয় কাটিহার জেলার আহমেদাবাদ পুলিশ। তবে অভিযান টের পেয়ে গা ঢাকা দেয় অস্ত্র কারখানার মালিক তথা কারিগর নারু কর্মকার। তার খোঁজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্তত বেশ কয়েক মাস ধরে ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানা চলছিল। বাড়ির মালিক নিজে এবং লোক নিয়োগ করে রকমারি অস্ত্র তৈরি করত।

সামনে পঞ্চায়েত ভোট থাকায় মালদহ ও আশপাশ জেলার বাজার ধরা উদ্দেশ্য ছিল। দিন কয়েক আগে মালদহে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাকে জেরা করেই বাংলা- বিহার সীমান্তে অস্ত্র কারখানার খোঁজ মেলে। এরপরেই অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করে পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ। অভিযানের সময় ওই বাড়ির মালিক নারু কর্মকারকে পাওয়া যায়নি।

তবে তার স্ত্রী ও ছেলেকে আটক করে দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে অস্ত্র কারখানা সংক্রান্ত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযানের শেষে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির উপকরণ বিহার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরবর্তী তদন্তের জন্য বিহারের আহমেদাবাদ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, মহা বিপাকে শান্তনু, তালা ভেঙে বাড়ি-রিসর্টে চলছে ইডির চিরুনি তল্লাশি

আরও পড়ুন, ডিএ ধর্না মঞ্চে বিধায়ক নওশাদকে ধাক্কা! ধৃত যুবক, নিন্দা করেও সন্দেহ কুণালের

পাশাপাশি বাংলা- বিহার সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এসটিএফ সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নজর এড়াতে বিহারের অংশে চলছিল অস্ত্র কারখানা। এখানে তৈরি হওয়া অস্ত্র মালদহে ছড়ানোর ছক ছিল। তবে যৌথ অভিযানে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়াকে সাফল্য বলে মনে করছে এসটিএফ। সময়মতো অস্ত্র কারখানায় অভিযান না হলে আরও অস্ত্র মালদহের বাজারের ছড়ানোর সম্ভাবনা ছিল।

Published by:Suvam Mukherjee
First published:

Tags: Crime, Police