মালদহ: অজ্ঞাত পরিচয় পার্সেল ঘিরে বোমাতঙ্ক। মালদহ শহরের অভিজাত এলাকা সিঙ্গাতলায় বোমাতঙ্ক। শনিবার দুপুরে ইংরেজবাজার পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের একটি আবাসনের বাসিন্দার নামে ওই পার্সেল আসে। প্রেরক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়াতে পুলিশে খবর দেন পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় আসে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড।
তারাও প্রাথমিক পরীক্ষায় ওই পার্সেল ঘিরে ধন্ধে পড়েন। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় ভিড় করেন প্রচুর উৎসুক মানুষ। কিছু সময়ের জন্য এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণও করে পুলিশ। এরপর সতর্কতার সঙ্গে ওই পার্সেলটিকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা হয়। পরে ওই পার্সেল খুলে উদ্ধার হয় রঙিন মোমবাতি। পার্সেলটি কে বা কারা পাঠিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মালদহ শহরের অভিজাত এলাকা সিঙ্গাতলার আবাসনের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী প্রদীপ সেন জানান, তাঁর নামে ওই পার্সেলটি আসে। কোনওরকম 'রিসিভ' না করিয়েই ছেলেকে ওই পার্সেলটি দিয়ে চলে যায় কুরিয়ার কোম্পানির প্রতিনিধি। ঘরে আনার পর প্রেরক সম্পর্কে তৈরি হয় সন্দেহ। কে বা কারা পাঠিয়েছেন তার সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল না, ওই পার্সলে। এরপরেই ওই পার্সেলটিকে আবাসনের বাইরে একটি ফাঁকা জায়গায় রেখে দেন ওই ব্যবসায়ী। খবর দেওয়া হয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে মালদহের মালঞ্চপল্লী এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় পার্সেল খুলতেই জোড়ালো বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই সময় বিস্ফোরনে মৃত্যু হয় পেশায় স্কুল শিক্ষিকা কুরিয়ার প্রাপক মহিলার। স্বাভাবিকভাবেই এদিনের পার্সেল ঘিরেও তৈরি হয় আতঙ্ক। খবর পেয়ে দুপুরের পর ঘটনাস্থলে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। জেলা পুলিশের বোম স্কোয়াড এসেও পার্সেলটি পরীক্ষা করে।
কিন্তু, মেটাল ডিটেক্টরেও কোনও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। এরপরে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে পুলিশ। আবাসনের বাইরে পার্সেলের চারপাশে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে যত সময় গড়াতে থাকে ততই বাড়তে থাকে কৌতুহল ও আতঙ্ক। সন্ধ্যা নাগাদ এলাকায় এসে পৌঁছয় সিআইডি বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড। প্রাথমিক পরীক্ষার পর ওই বিশেষজ্ঞরাও কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। বিস্ফোরণ প্রতিরোধী প্রসাদ পড়ে ওই পার্সেলটিকে সড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ফাঁকা জায়গায়।
আরও পড়ুন, এক সপ্তাহ পরেই উচ্চ মাধ্যমিক, জারি হল পরীক্ষার জরুরি গাইডলাইন, দেখে নিন
আরও পড়ুন, 'দিদি যখন আছে সবাই পাশ'! মাধ্যমিক শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অবাক দাবি অভিভাবকের
এরপর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেখা যায় পার্সেলের ভিতর রয়েছে রঙিন ও রকমারি বেশ কয়েকটি মোমবাতি। আতঙ্কের নিরসন হলেও ওই পার্সেল ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। কারণ কে বা কারা পার্সেল পাঠিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। কেন ওই ব্যবসায়ীর নামে পার্সেল এসেছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোনরকম ভয়ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে নাকি রসিকতা করে ওই পার্সেল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সেবক দেবশর্মা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Police