#শিলিগুড়ি: পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়ার পর আজ জামাই ষষ্ঠীও করোনার থাবা! নেই আড়ম্বরতা! নেই উৎসাহ! কোথায় সেই থিক থিক ভিড়! বিধান মার্কেটের মাছ বাজার থেকে সুভাষপল্লি বাজার, সেই জমজমাট ভিড় চোখে পড়ল না। যা প্রতি বছির আজকের দিনে দেখা যেত। ইলিশ, বোয়াল, গলদা চিঙড়ি, পাবদা-সহ রকমারী মাছের ডালি নিয়ে বসলেও কোথায় সেই বিক্রি? কার্যত মাথায় হাত মাছ ব্যবসায়ীদের। ওপার বাংলার ইলিশের চাহিদাও আগের বছরগুলোর তুলনায় কম। ৮০০ থেকে হাজার টায় বিক্রি হয়েছে ইলিশ। সেখানে চিঙড়ি ৪০০ টাকা কেজি প্রতি।
লকডাউনের জেরে আজ অনেকেই কর্মহীন। তাই পাত পেড়ে জামাই আদর করে খাওয়ানো আজ তাদের কাছে বিলাসিতা। জামাই ষষ্ঠীর সকাল থেকে মাছ বাজারের যে গমগম আওয়াজ শোনা যেত, এবারে সেটা নেই। নাগালের মধ্যে মাছ থাকলেও বিক্রি নেই। আর পাঁঠা বা খাসির মাংস, মুরগীর মাংসের দামও ছিল ঊর্ধমুখী। তাই মুখ ফিরিয়েছে বাঙালী। ফলের বাজারেও সেই চেনা ষষ্ঠীর বাজারের ছবি এবারে উধাও! আম, লিচু, আপেল, পেয়ারা, তরমুজ থাকলেও বিক্রি তেমন নেই। বলছেন ফল ব্যবসায়ীরা। গত দু'দিনে আমের গাড়ি আসেনি। আমফান, ঝড়, বৃষ্টির জেরে ভাল আম আসেনি বাজারে। আর যা ছিল তা অগ্নিমূল্য। তুলনায় ভিড় লক্ষ্য করা গেল মিষ্টির দোকানে। তবে উপচে পড়া নয়।
এবারে যেন কোনও ক্রমে শ্বাশুড়ীরা জামাই ষষ্ঠী পালন করলেন। করোনা আবহে সেই হুল্লোড় নেই। বন্ধ সিনেমা হল। তাই আত্মীয়স্বজন নিয়ে জামাইয়ের সিনেমা দেখতে যাওয়াও নেই! তবে ঘরে ঘরে চললো বাঙালীর আরও এক উৎসব। বাজারঘাটের ছবি বলছে এবারে কেমন হল জামাই আদর! বাজারে বের হলেও মানা হয়েছে পারস্পরিক দূরত্ব। প্রত্যেকেরই মুখ ঢেকেছে মাস্কে। নইলে যে বিক্রেতারা ফিরিয়ে দিচ্ছে ক্রেতাদের। যেভাবে এবারে কেটেছে বাংলা নববর্ষ। তেমনি জামাই ষষ্ঠীও কাটল ঘর বন্দী অবস্থায়।
Partha Pratim Sarkarনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Jamai shasti, Market, Siliguri