#কোচবিহার: কোচবিহার বিমানবন্দরের ফের অনিশ্চিত ভবিষ্যত। লাইসেন্স নবীকরণ করল না DGCA। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ও ভিভিআইপি কপ্টার ছাড়া ১৭৩ একর জমির উপর তৈরি বিমানবন্দরে কোনও বিমান ওঠানামা করে না। তাই এই সিদ্ধান্ত। হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এক বছরের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কোচবিহার বিমানবন্দরের ভবিষ্যত। এবছর লাইসেন্স রিনিউ করছে না DGCA। তাঁদের যুক্তি, বিমানবন্দরে নিয়মিত উড়ান নেই ৷ শুধুমাত্র এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ও ভিভিআইপিদের চপার ওঠা-নামা করে ৷ তবু প্রতিদিন সকালে দু’ঘণ্টার জন্য খুলে রাখতে হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ৷ প্রতিবছর লাইসেন্স ফি-ও দিতে হচ্ছে।
লাইসেন্স নবীকরণ না হওয়ায় হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ১৯৩০ সালে তৎকালীন কোচবিহার রাজার তত্ত্বাবধানে বিমানবন্দরের পথচলা শুরু ৷ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নিয়মিত ওঠানামা করেছে বিমান ৷ তারপর থেকে পুরোপুরি বন্ধ পরিষেবা ৷
বিমানবন্দর চালুর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রানওয়ে এক কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যাতে ১৮ বা ২০ সিটার বিমান সহজেই ওঠানামা করতে পারে। তবু পুরোদমে চালু হয়নি বিমানবন্দর।
২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ফের চালু হয় কোচবিহার বিমানবন্দর ৷ ছোট বিমানের উড়ান শুরু হয় ৷ কিন্তু যাত্রীর অভাবে কিছুদিন পর ফের বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা ৷
২০১৯ সালে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নাইন সিটার বিমান চলাচল শুরু হলেও, কিছুদিনের পর তাও থমকে যায়। কেন্দ্রের উড়ান প্রকল্পেও নাম ওঠে কোচবিহারের। কিন্তু এখান থেকে নিয়মিত যাত্রী বিমান চালাতে রাজি হয়নি কেউই। অথচ ২০১১-য়ে নতুন করে চালু হওয়ার সময়ে পাওয়া লাইসেন্স প্রতিবছর রিনিউ করতে হচ্ছিল। ২০২১-র ২৭ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে লাইসেন্স। DGCA সূত্রে খবর, এবার আর লাইসেন্স রিনিউ হবে না। কমানো হবে কর্মী সংখ্যাও। কোচবিহার বিমানবন্দর ঘিরে রাজনৈতিক চাপান উতোর তুঙ্গে।রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই ফের একলা কোচবিহার বিমানবন্দর...পরবর্তী উড়ানের অপেক্ষায়।
রিপোর্টার- শালিনী দত্ত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coochbehar Airport