হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
চার বছর ধরে প্রেম করে ব্রেক-আপ কেন! প্রেমিকার বাবা-মাকে ফালা ফালা করে কোপাল যুবক

Cooch Behar | Shitalkuchi: চার বছর ধরে প্রেম করার পরে ব্রেক-আপ কেন? তাই খুন! প্রেমিকার বাবা-মাকে কুপিয়ে মেরেও নিরুত্তাপ শীতলকুচির যুবক 

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে এলাকায়। এদিন দুপুরে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন।

  • Share this:

কোচবিহার: চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক৷ তারপর হঠাৎই বাবা-মায়ের চাপে ব্রেক আপ করার সিদ্ধান্ত৷ সেই কারণেই প্রেমিকার মা-বাবাকে খুন করেছে বলে জানাল কোচবিহারের শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত যুবক বিভূতিভূষণ রায়৷ শীতলকুচিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে, তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে এলোপাথাড়ি কোপানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিভূতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে শীতলকুচির হসপিটাল পাড়া এলাকায়। প্রেমিকার মা মৃত নীলিমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। অপরদিকে, তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে৷

আরও পড়ুন: শিয়ালদহ লাইনে কাজ, সময়সূচি বদল একাধিক ট্রেনের, বদলাচ্ছে স্টেশনও, কখন কোথা থেকে ছাড়বে কোন ট্রেন? দেখে নিন তালিকা

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মনের সঙ্গে পাশের গ্রামের যুবক বিভূতিভূষণ রায়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। আর এনিয়ে পরিবারে অশান্তিও হয়। মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। আর সেই কারণেই এদিন প্রেমিকার বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্ত বিভূতি৷

অভিযুক্ত বিভূতির দাবি, প্রেম ভেঙে দেওয়ারল কথা জানিয়ে, তাঁর প্রেমিকা ইতি তাঁকে জানিয়েছিল, প্রয়োজনে তার বাবা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা বিমল বর্মন বিভূতিকে লোক পাঠিয়ে মারধর করাতে পারে। এরপরেই ইতির বাড়িতে চড়ার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিভূতি৷ শুক্রবার ভোররাতে নিজের দলবল নিয়ে বিভূতি তাঁর প্রেমিকা ইতি বর্মনকে খুন করার জন্য ওই বাড়িতে ঢোকে। সেই সময় প্রেমিকার বাবা-মা বাধা দেয় বিভূতিদের। সেই কারণেই তাঁদের খুন হতে হয় বলে জানিয়েছে বিভূতি।

আরও পড়ুন: 'পাল্কি অ্যাম্বুল্যান্স' থেকে ‘আনন্দপাঠ’! মানুষের সেবায় নিয়োজিত সরকারি কর্মীদের ২০টি প্রকল্পকে বিশেষ স্বীকৃতি দিল নবান্ন

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে এলাকায়। এদিন দুপুরে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন,  ‘‘তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী খুনের ঘটনায় বিজেপির মদত রয়েছে।’’ তাঁর দাবি,  এলাকায় এই তৃণমূল নেতার ভাল প্রভাব ছিল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বুথে তৃণমূলের ফল ভাল হত। তাই তাঁদের শেষ করে দিতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি অভিজিতের। যদিও বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদিকা দীপা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করলেই গোটা ঘটনা পরিষ্কার হবে। ’’

শুভঙ্কর সাহা

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Cooch behar