#জলপাইগুড়ি: প্রকাশ্যে এল চন্দনা চক্রবর্তীর আরও কীর্তি। জলপাইগুড়িতে ব্রেন ওয়াশ করে মায়ের থেকে শিশুকন্যাকে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল চন্দনার বিরুদ্ধে। মেয়ের খোঁজে জলপাইগুড়ির 'বিমলা শিশুগৃহে' গিয়েও হদিশ মেলেনি সাড়ে তিনবছরের দীপালির। প্রশ্ন উঠছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির ভূমিকা নিয়েও। ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে মেয়ে খোয়ালেন দম্পতি। যার জেরে চন্দনা চক্রবর্তী ও শিশুপাচার চক্রে একটি নতুন দিক প্রকাশ্যে এল।
গতবছর সেপ্টেম্বরে জলপাইগুড়ির এনজেপি স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর আটের গণেশ বাশফোর ৷ দিন পনেরো পর স্টেশনের কাছের একটি হোম থেকেই ছেলেকে খুঁজে পান সমীর ও কাজল বাশফোর ৷ সেখানেই সম্ভবত কোনও দালালের খপ্পড়ে পড়েন দম্পতি ৷ সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়ে কাজল ও তাঁর আড়াই বছরের মেয়ে দীপালিকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি ৷ সেখানে 'আশ্রয়' নামের একটি হোমে রাখা হয় কাজলকে ৷ মেয়ে দীপালিকে রাখা হয় 'বিমলা শিশুগৃহে' ৷ দু'টি হোমই চালাতেন চন্দনা চক্রবর্তী ৷
গতবছর নভেম্বরে কাজল ছাড়া পেলেও, তাঁর মেয়েকে ছাড়তে চায়নি হোম কর্তৃপক্ষ। হোমের দাবি মেনে, চলতি বছর জানুয়ারিতে দার্জিলিং জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির ছাড়পত্রও নিয়ে আসেন দম্পতি। কিন্তু,
- তার আগেই রাজ্য চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্র্যাফিকিং বিভাগের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় 'বিমলা শিশুগৃহ'
- হোমে থাকা সব বাচ্চাদের পাঠানো হয় অন্য জেলার হোমগুলিতে
- 'বিমলা শিশুগৃহ'-এর রেজিস্ট্রারেও নাম নেই দীপালি নামে কোনও শিশুর
এবার প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই শিশুটিকেও বিক্রি করে দিয়েছে চন্দনা? চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সনের বক্তব্যেও মিলছে সেরকমই ইঙ্গিত। সিডব্লিউসি দায়িত্ব অস্বীকার করলেও, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক রচনা ভগৎ। একইসঙ্গে জলপাইগুড়ির শিশুপাচারকাণ্ডে চন্দনার দাদা ও বৌদিকে সোমবার তলব করেছে সিআইডি।