শিলিগুড়ি: রমজান মাস শুরু হয়েছে। দিনভর নির্জলা ওঁরা নিজেরাই। তারই মাঝে আজ আবার রাম নবমী। শহর শিলিগুড়ি জুড়ে দিনভর সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়েছে। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে অনেকেই ক্লান্ত, আবার অনেকেই তৃষ্ণার্ত্য হয়ে পড়েন। সেই ক্লান্তি দূর করতে এবং তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে এলেন শিলিগুড়ির মুসলিম সমাজের একাংশ। তৃষ্ণার্তদের হাতে পানীয় জলের বোতল, ফলের জ্যুস তুলে দিলেন শহরের মুসলিম ভাইয়েরা।
রাম নবমীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নয়া দৃষ্টান্ত তৈরি করল শিলিগুড়ি। গোটা রাজ্যের কাছেই যা এক অন্য বার্তা পৌঁছে দিল। শিলিগুড়ির হাসমিচকে মসজিদের সামনে থেকেই রাম ভক্তদের পাশে দাঁড়ালেন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। আবার কেউ পরস্পরকে বুকে টেনে আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন।
আরও পড়ুন: পাখির কলতান, স্নিগ্ধ সবুজে মন ভরে যাবে, গরমের ছুটিতে ডেস্টিনেশন হোক যোগীঘাট
অন্যতম উদ্যোক্তা শেওয়ানাজ হোসেন বলেন, 'এটাই দেশের সংস্কৃতি। এটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবি। এটাই শিলিগুড়ির সংস্কৃতি। আমরা ভাই ভাই। হিন্দু, মুসলিম বলে কিছু না।' তিনি জানান, 'এ ভাবেই আমরা পরস্পরের পাশে আছি। আজ ভাল লাগছে।' এই ধরনের আতিথেয়তা পেয়ে খুশি স্বস্তিক সাহা, সায়ন ঘোষেরা। সায়ন বলেন, 'এটা খুবই ভাল বার্তা। আমরা হিন্দু মুসলিম নিয়ে লড়ে যাচ্ছি। সেদিক থেকে বিচার করলে আজকের এই সৌহার্দ্যতা অবশ্যই অন্য মাত্রা এনে দিল।'
এ দিকে আজ রামনবমীতে শিলিগুড়িবাসী মুগ্ধ হল ঢাকের তালে। শিলিগুড়িতেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোভাযাত্রা এসছে হাসমিচকে। গোটা হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বিধান রোডে তিল ধারনের জায়গা ছিল না। এরই মাঝে শহর মাতালেন মহিলা ঢাকির দল। একযোগে তিন তিনটে ঢাক নিয়ে কখনও কাঁধে আবার কখনও বা মাথায় তুলে নিয়ে সুর চড়ালেন। তার তালেই নাচলেন ভক্তরা। ছিল ডিজে, ব্যান্ড পার্টি, তাসা।
ঢাকের তালে কোমর দোলাতে কে না ভালবাসে! এই প্রথম এমন আয়োজনে খুশি শহরবাসী। সন্ধ্যের পরও রামনবমীর শোভাযাত্রায় মেতে রইল শহরবাসী। এ যেন এক অন্য উৎসব!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।