মালদহ: জীবন বাজি রেখে জীবিকা নির্বাহ করছেন উমেশ। প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে জীবনের ঝুঁকি, গাছের মগডালে ওঠা থেকে মৌমাছির হুল। দুটোই সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ের বিষয়।
তবে এই ভয়কে জয় করেই মধু সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছেন উমেশ মাহাতো। এক সময় ভাল রোজগার হতো। তবে বর্তমানে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তেমন মেলে না মৌমাছির চাক।
এই মৌমাছির চাক থেকেই মধু সংগ্রহ করেন উমেশ। কোনওদিন হয়তো একাধিক মৌমাছির চাক মেলে। সেই দিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার হয়। আবার কোনও দিন দিনভর ঘুরেও কিছুই মেলে না। সেই দিন খালি হাতে ফিরতে হয়।
আরও পড়ুন- গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে পথ কুকুরদের ভ্যাকসিনেশন! নজির গড়ল এই পশুপ্রেমী
তবুও এক পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন উমেশ। কারণ পূর্বপুরুষের এই পেশা ছোট বেলা থেকেই করে আসছেন। তাই এখন আর অন্য কোনও কাজ করতে পারেন না।
শুধু তাই নয়, মূলত পূর্বপুরুষের পেশা টিকিয়ে রাখতে এই কাজ করে চলেছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারে বাড়ি উমেশ মাহাতোর। গত ৩৫ বছর ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঘুরে মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে আসছেন।
মধু সংগ্রহ করার পদ্ধতি অদ্ভুত। মধু সংগ্রহ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ কাঁচা গাছের ডালে ধোঁয়া তৈরি করে। সেই ধোঁয়া দিয়েই মৌচাক থেকে মৌমাছি তাড়ানো হয়। তাড়ানোর সময় একাধিক মৌমাছি শরীরে হুল ফোটায়।
এই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করেই মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। অধিকাংশ মৌচাক বড় বড় গাছের মগডালে হয়ে থাকে। সেই মগডালে উঠে মধু সংগ্রহ করা অনেকটাই চ্যালেঞ্জ।এই মধুর চাহিদা বাজারে ব্যাপক।
আরও পড়ুন- মাছ উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়ার পথে সাগর ব্লক, সরকারের প্রশিক্ষণে নয়া দিক উন্মোচন
বর্তমানে বাজারে ৩০০থেকে ৪০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই মধু। মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে ঘুরে ঘুরে এই মধু বিক্রি করেন তাঁরা। এই ভাবেই চলে তাদের জীবন জীবিকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে খাঁটি মধু বিগত কয়েক বছর ধরে তুলে দিয়ে আসছেন উমেশ সহ এই পেশার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যরাও।
হরষিত সিংহ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Honey