#জলপাইগুড়ি: চন্দনাকে শুধু সাহায্য করাই নয়। তাঁর ব্যবসায়ের পঞ্চাশ শতাংশ মালিকানাও ছিল সদ্য অপসারিত বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর। জলপাইগুড়ি শিশুপাচারচক্রে ধৃত চন্দনা চক্রবর্তীর ডায়েরি ঘেঁটে এমনই প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা ।
জুহিকে জেরা করে এই বিষয়ে জানতে চাইছে সিআইডি। প্রশ্ন করা হচ্ছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীর ভূমিকা নিয়েও। আজ জলপাইগুড়ি আদালতে বারো দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ হয় জুহির । পাল্টা সিবিআই তদন্তের দাবি করেন শিশুপাচারচক্রের অন্যতম অভিযুক্ত জুহি।
জলপাইগুড়ি শিশুপাচারচক্রে প্রথম থেকেই নজরে ছিলেন জুহি চৌধুরী। ধৃত চন্দনা চক্রবর্তীর বয়ানে বার বারই উঠে আসে বিজেপি নেত্রীর নাম। হোমের ঝামেলা মেটাতে দিল্লির সঙ্গে চন্দনার যোগাযোগের সূত্র-ই ছিলেন জুহি। উঠে আসে টাকা লেনদেনের তথ্য। আসে শর্তের কথাও। নাম জড়ায় বিজেপির হেভিওয়েটদের।
প্রশ্ন অনেক। কিন্তু উত্তর মেলার আগেই গা ঢাকা দেন জুহি। শেষে রীতিমত ফাঁদ পেতে বয়ফ্রেন্ডের আত্মীয়ের সাহায্য নিয়ে জুহিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শিশুপাচার ও বিক্রি নিয়ে তদন্ত এগোতে জুহির বয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর জুহিকে জেরা করে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। জেরায় এদিন জুহির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে,
- কতদিন ধরে চন্দনা চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ?
- চন্দনা চক্রবর্তীকে সাহায্যের জন্য কার কার কাছে সুপারিশ করেছিলেন?
- সাহায্যের বিনিময়ে কী কী দাবি করা হয়েছিল?
-চন্দনার ব্যবসার ৫০ শতাংশ মালিকানা ছিল আপনার?
-হোমের টাকায় কেন দিল্লি যান?
-হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে জানতেন?
-রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গী কী কী সাহায্য করেছিলেন?
সিআইডির দাবি, চন্দনার ব্যবসার রীতিমতোঅংশীদারও ছিলেন জুহি ৷ ব্যবসায় অলিখিত ৫০% ভাগ ছিল বিজেপির সদ্য অপসারিত মহিলা মোর্চার নেত্রীর ৷ চন্দনার ডায়েরি ঘেঁটে এমনই প্রমাণ মিলেছে ৷ মিলেছে টাকা লেনদেন ও কাজকর্মের নানা তথ্যও ৷ পুরো ব্যবসা জুহিকে ছেড়ে দিতে চাইছিল চন্দনা ৷
এর মধ্যেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেন ধৃত জুহি। এদিন আদালত চত্বরে জুহির কড়া শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূল।