#শিলিগুড়ি: চারপাশ ঘেরা সারি সারি পাইন গাছে। বাংলা এবং সিকিম সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ি গ্রাম বার্মেইক। কালিম্পং থেকে ১৫ কিলোমিটারের পথ। একেবারে শান্ত পাহাড়। জনবসতিও কম। ওপারে সিকিম। দিন হোক বা রাতের আলোয় ঝলমলে দেখায় সিকিম পাহাড়কে। এখান থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে একাধিক ভিউ পয়েন্ট। অদূরেই দুই নদীর মিলনস্থল। রংপো এবং তিস্তার মিলনস্থল। ব্রেকফাস্ট করে ঢুঁ মারতে গিয়ে ফেরার ইচ্ছে হবে না। গোটা দিন কেটে যাবে দুই নদীর মিলনস্থলে! অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর।
কিছুটা দূরে জলসাঘর। এখানেই ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পয়েন্ট। যেদিকেই চোখ যাবে শুধুই পাহাড়ি অপরূপতা। সেল্ফি বা গ্রুফি তোলার আদর্শ জায়গা। ক্যুইনাইন সংস্থার বাংলো এই জলসাঘর। ৭ কিলোমিটার দূরে ডেলো। যেখানে বিকেলে প্যারাগ্লাইডিংও করতে পারবেন পর্যটকেরা। রয়েছে হনুমান মন্দির থেকে বৌদ্ধ গুম্ফা। সন্ধ্যের দিকে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে আবার ফিরে আসা হোম স্টে'তে। তারপর ওপারে তাকালেই আলো ঝলমলে সিকিম পাহাড়ের হাতছানি। অনায়াসেই ২-৩ দিন কাটানো যেতে পারে এখানে। ঘুম ভাঙতেই জানালা খুললেই মিলবে ঘুমন্ত বুদ্ধ'র দর্শন। এক্কেবারে ঝা চকচকে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা।
আরও পড়ুন: জঙ্গলের মাদকতায় মন মাতাতে চান? বড়দিনের ছুটিতে ডেস্টিনেশন হোক ভালকি মাচান
হোম স্টে'র বারান্দা থেকে যেন হাতের মুঠোয় কাঞ্চন দর্শন! ধোঁয়ামাখা গরম চা বা কফি তুলে নেওয়ার পর বেড়িয়ে পড়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মোড়া বার্মেইক দর্শন সেরে আবার ফিরে আসা। লাঞ্চ সেরে নিয়ে ডেলোতে গিয়ে প্যারাগ্লাইডিং। হনুমান মন্দির দর্শন সেরে ফিরে আসা। সন্ধ্যেয় রুম কিংবা বারান্দা থেকে আলোকমালায় সেজে থাকা সিকিম মন ভরিয়ে দেবে পর্যটকদের। সঙ্গে যদি থাকে মোমো আর স্যুপ তাহলে তো কথাই নেই! মিলবে রকমারি নেপালি ফুড ডিস। সম্পূর্ণ অর্গানিক শাক, সবজি। চিকেন বা ডিম কারি তো থাকছেই। চাইলে মিলতে পারে স্থানীয় বাটা মাছও! মাথাপিছু খরচ ১৫০০ টাক।
কীভাবে যাবেনঃ এনজেপি বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কালিম্পং হয়ে সোজা বার্মেইক।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North Bengal