#রায়গঞ্জ: জলপাইগুড়ির পাশাপাশি রায়গঞ্জেও কি ছড়িয়ে শিশু পাচারচক্রের জাল? জলপাইগুড়ির হোমের পাঁচটি শিশুকে আজ রায়গঞ্জ থেকে উদ্ধারে এই সম্ভাবনা জোরালো হল। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির শিশু সুরক্ষা আধিকারিককে শাকজ করা হয়েছে। তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
জলপইগুড়ি হয়ে শিশু পাচারচক্রের জাল কি ছড়িয়েছিল রায়গঞ্জেও? এখানেও কি সক্রিয় ছিল চন্দনা চক্রবর্তী ও তার শাকরেদরা? ধূপগুড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি গাড়ি এমনই সব প্রশ্ন তুলে দিল। সামনে এল দাস ফাউন্ডেশন নামে এক ভুয়ো সংস্থার নাম।
ধূপগুড়িতে মিলল রহস্যজনক গাড়ি ৷ সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার শিশুসহ মহিলা ৷ গাড়িতে দাস ফাউন্ডেশন নামে এনজিও-র বোর্ড লাগানো ছিল ৷ অথচ রায়গঞ্জে এই সংস্থার অস্তিত্বই নেই ৷
ভুয়ো সংস্থার আড়ালে শিশুটিকে পাচার করা হচ্ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে সিআইডি। সন্দেহ বাড়িয়েছে মহিলার কথায় অসঙ্গতি। আবার মঙ্গলবারই জানা যায় রায়গঞ্জের একটি হোমে জলপাইগুড়ি থেকে এনে ৫টি শিশুকে রাখা হয়।
-গত ২২ জানুয়ারি রায়গঞ্জের হোমে আসে ৫টি শিশু
-শিশুপাচারে অভিযুক্ত জলপাইগুড়ির হোম থেকে রায়গঞ্জের পূর্ব নেতাজি পল্লির হোমে আনা হয়
-পাচারের জন্যই শিশুদের আনা হয়েছিল বলে অনুমান পুলিশের
শিশু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই শো-কজ করা হয়েছে জলপাইগুড়ির শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষকে। শিশু পাচারে এই আধিকারিকের ভূমিকা থতিয়ে দেখতে তাকে জেরা করবে সিআইডি।
মঙ্গলবার শিশুপাচারে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করে দেয় সিআইডি। চন্দনা চক্রবর্তীর হোমের সব অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। টাকা লেনদেনের হদিশ পেতেই অ্যাকাউন্ট সিজ বলে খবর। সিআইডি অফিসাররা হোমটি সিল করে দেন।