#দার্জিলিং: গভীর রাতে আবারও বিস্ফোরণে কাঁপল পাহাড়। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পর এবার সুখিয়াপোখরি আর লোধামা। বুধবার রাত ২ টা নাগাদ সুখিয়াপোখরি থানা লক্ষ করে চলল বোমা আর গ্রেনেড হামলা। তারপরই লোধামা থানার সামনে দ্বিতীয় হামলা। থানা লক্ষ্য করে হাত-বোমা মেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সুখিয়োপোখরিতে হামলার তীব্রতা ছিল অনেক বেশি। বিস্ফোরণের জেরে দুটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটি দোকান। তবে গভীর রাতে বিস্ফোরণ হওয়ায় বড় ধরণের ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। বিস্ফোরণের সময় পাহাড় জুড়ে নজরদারি চললেও দুস্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ।
কীভাবে হামলা ?
রাত ২টো
সুখিয়াপোখরি থানাতে একইসঙ্গে বোমা ও গ্রেনেড ছোঁড়া হয়
থানার সাইনবোর্ডে লেগে বোমা বিস্ফোরণ হয়
রাত ২.৪৫
লোধামা থানার ৫০০ মিটার দূরে আরও একটি বিস্ফোরণ
হাত বোমা ব্যবহার করা হয় বলে অনুমান
ভোর ৪টে
মংপুতে গোডাউনে আগুন লাগানো হয়
বিস্ফোরণের পরই পাহাড় জুড়ে তল্লাশিতে নামে পুলিশ ও আধা-সেনা। ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি রাস্তার মোড়ে শুরু হয় নজরদারি।
গত ১৮ অগাস্ট প্রথমবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দার্জিলিং। জিলেটিন স্টিক ব্যবহার করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তার একদিন পরেই ফের বিস্ফোরণ। হামলাকারীদের লক্ষ ছিল কালিম্পং থানা।
পরপর বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে পাহাড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়। শুরু হয় রাতভর তল্লাশি। বিস্ফোরণের আগে সুখিয়াপোখরি মোড়েও তল্লাশি চালাচ্ছিল রাজ্য পুলিশের একটি দল। তাতে অবশ্য হামলা আটকানো যায়নি।