রক্ত শূন্যতায় ভুগছে জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্ক

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্ত শূন্যতায় ভুগছে।

  • Last Updated :
  • Share this:
    #জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক রক্ত শূন্যতায় ভুগছে।রক্তের আকাল মেটাতে সাধারন মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের রক্তদান করতে ফেসবুকে আবেদন সদর হাসপাতাল সুপারের।জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে সুপার ড: গয়ারাম নস্কর নিজেই রক্তের যোগানে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য ফেসবুকে পোস্টে আহবান জানিয়েছে ।
     রক্ত শুন্যতায় ভুগছে জলপাইগুড়িতে ব্লাড ব্যাঙ্ক।কেউ রক্তদান শিবির করছে না। বিপাকে রোগীরা। দীর্ঘদিন নেগেটিভ রক্তের যোগান নেই। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আবেদন জেলা প্রশাসনের ও স্বাস্থ্য দপ্তরের।
    শুক্রবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের চার্ট বোর্ডে দেখা যায় A গ্রুপের রক্ত নেই, A নেগেটিভ নেই,B পজিটিভ  2 ইউনিট আছে,B নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত নেই,AB 1 ইউনিট  আছে, AB নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত নেই,O গ্রুপের 12 ইউনিট আছে,O নেগেটিভ গ্রুপের কোন রক্ত নেই।রক্তের যোগান না পেয়ে বিপাকে পরেছেন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা।
     জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল সহ মাল মহকুমা এবং কোচবিহারের হলদিবাড়ি হাসপাতালে রোগীদের রক্ত সংকট সমস্যা মেটাতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে " রক্তদানের দিনপঞ্জি" বা " ব্লাড ডোনেশন ক্যালেন্ডার " তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা এখন এগিয়ে আসছে না রক্তদান শিবিরের জন্য। ফলে রক্তদান শিবির না হওয়ায় রক্তের যোগান নেই ব্লাড ব্যাঙ্কে।
      স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্র জানানো হয়েছে,গত বছর জেলা হাসপাতালে রক্তদান ক্যাম্পের থেকে ডোনারের মাধ্যমে বেশী করে রক্ত আদান প্রদান হয়েছে।যেমন, গত বছর এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত যথাক্রমে ক্যাম্পের মাধ্যমে ৩৬৬ বোতল,৩৮৪ বোতল,৪১৪ বোতল,এবং ৪০৮ বোতল রক্ত পাওয়া গিয়েছিল।কিন্তু রক্ত এক্সচেঞ্জ করে ওই ৪ মাসে যথাক্রমে ১০০৮,১০০৩,১০৬৩ এবং৮৭০ বোতল রক্ত মিলেছে।
    প্রতিদিন জলপাইগুড়ি,মাল,হলদিবাড়ি,নার্সিং হোম মিলিয়ে ৫০ বোতল করে রক্তের দরকার পড়ে।কিন্তু ক্যাম্পের চেয়ে এক্সচেঞ্জ রক্ত বেশী করে আদান প্রদান হচ্ছে।তাতে রক্ত সংকট সমস্যা মিটছে না।সেই জন্য যারা রক্ত দান শিবির করে থাকেন তারা যাতে মাসে ১৫০০ বোতল রক্ত শিবিরের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে দেন তার জন্যই স্বেচ্ছাসেবি সংঠনগুলি শিবিরের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু রক্তদান শিবির না হওয়ায় বিপাকে পরেছেন স্বাস্থ্য দপ্তর।
    মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড: জগন্নাথ সরকার বলেন, আমরা চাইছি রক্তদান শিবির হোক।কিন্তু সাধারন মানুষ এগিয়ে না আসলে বিপদে পরবেন রোগীরা।
    First published:

    Tags: Blood Bank, Jalpaiguri