মালদহ: মালদহের গাজোলে স্কুলের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দুই সপ্তাহ বাদে নির্যাতিতার বাড়িতেই তদন্তে গিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের মধ্যে তুমুল দ্বন্দ্ব, বাদানুবাদ। এমনকি নির্যাতিতার বাড়ির সদর দরজার সামনেও সংঘাতে জড়াল বিজেপি ও তৃণমূল। সমস্ত ঘটনায় ঘটলো নির্যাতিতার ঘরের চৌকাঠে, বাড়ির উঠোনে।
যখন বাইরে দুই সুরক্ষা কমিশন আর দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে তুমুল বাক-বিতণ্ডা, তখন ঘরের মধ্যে কার্যত সিঁটিয়ে থাকল নির্যাতিতা। দুইপক্ষকে শান্ত হতে বলে শেষে হাতজোড় করে কেঁদে ফেললেন নির্যাতিতার মা। এদিনের ঘটনা নিয়ে দফায় দফায় কেন্দ্র ও রাজ্যের শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের সদস্য আর চেয়ারপার্সনদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপ আর বাধানুবাদের ছবি ধরা পড়ে গাজোলে।
সকাল আটটা নাগাদ গাজোলে পৌঁছে যান রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের দুই সদস্যের দল। যার নেতৃত্বে চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। আধ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। যার নেতৃত্বে এনসিপিসিআরের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা রাজ্যের দলকে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তাঁরা নির্যাতিতা ও পরিবারের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চান বলেও জানান।
পাল্টা রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসন বলেন আলাদা করে কেন, একইসঙ্গেই তো ঘটনার তদন্ত হতে পারে। এরপরে এনসিপিসিআর- এর চেয়ারপার্সন অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের কমিশনের ঘটনাস্থলে আসতে ১০ দিনেরও বেশি সময় লাগলো কেন, পাল্টা সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে দুই কমিশনের মধ্যে বাকবিতন্ডা বাঁধে।
এরপর কেন্দ্রীয় সদস্যদের নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীদের একাংশ এবং বিজেপির নেতাকর্মীরা। এভাবে বেশ কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের দল নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাছেই ঘটনাস্থল ওই স্কুল পরিদর্শনে যান। সেইসময় কেন্দ্রীয় দল ফের এসে ঢোকে নির্যাতিতার বাড়িতে। ইতিমধ্যে সেখানে জড়ো হয়ে যান তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও।
আরও পড়ুন, ভাড়া শুরু মাত্র ৫ টাকা দিয়ে! কবি সুভায়-রুবি রুটে ভাড়া ঘোষণা করল মেট্রো
আরও পড়ুন, ঘাড়ের গঠনই জানিয়ে দেয় কার চরিত্র ঠিক কেমন! জানুন সামুদ্রিক শাস্ত্র কী বলছে
কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক কেন ভেতরে গিয়েছেন, এই প্রসঙ্গ তুলে আপত্তি জানায় তৃণমূল। এমন পরিস্থিতিতে দুই রাজনৈতিক দলের মহিলা কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপক্ষের গোলমাল থামাতে হিমশিম দশা হয় পুলিশের। কিছুক্ষণ তদন্তের পর ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যায় দুই কমিশনই। দুই পক্ষকেই শান্ত হতে অনুরোধ করেন নির্যাতিতার বাড়ির লোকেরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।