#শিলিগুড়ি: বিহারের পর এবারে মিশন বাংলা। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়লো গেরুয়া শিবির। বাংলা দখলের লক্ষ্যে আজ থেকে শিলিগুড়িতে শুরু হল দু'দিনের সাংগঠনিক বৈঠক। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক। মূলত সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করাই বৈঠকের লক্ষ্য। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরের ৮ আসনের মধ্যে ৭টিতেই পদ্মফুল ফুটেছিল।
সেদিক বিচার করলে উত্তরে ২১-এর লড়াইতে অনেকটাই এডভান্টেজে পদ্ম শিবির। কিছু খামতিও যেমন রয়েছে, সেগুলো শুধরে নেওয়া অন্যতম লক্ষ্য। কিছু জেলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তা কাটিয়ে তুলতে তৎপর রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে যোগ দিতে শিলিগুড়িতে এসছেন কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য, শিবপ্রকাশ জি, রাজ্যের নেতা সায়ন্তন বসুরা। অনেক রাত পর্যন্ত চলে বৈঠক।
প্রথম দিনে দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার জনপ্রতিনিধি, জেলা সভাপতি, প্রাক্তন জেলা সভাপতি, বুথস্তরের নেতাদের নিয়ে দফায় দফায় চলে বৈঠক। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরে ভালো ফল করাই চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরের। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে উত্তরে এগিয়ে থাকা বিজেপির আসন ধরে রাখতেই কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছে দলীয় নেতারা। কিছু নয়া কৌশল নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তারা।
একসময়ে বাম এবং কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উত্তরবঙ্গ এখন মূল লড়াই ঘাসফুলের সঙ্গে পদ্মের। মালদা এবং রায়গঞ্জেও ফুটেছে পদ্মফুল। তাই এবারের লড়াই সেয়ানে সেয়ানে। বৈঠকে যোগ দেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, ডুয়ার্সের দুই বিধায়ক মনোজ টিগগা, উইলসন চম্প্রামারিরাও। দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের দাদাগিরি, তোলাবাজি, অত্যাচার, রাজনৈতিক হিংসা চলছে। কালীঘাট এণ্ড কোম্পানীর কাটমানি, গরু পাচার থেকে মুক্তি চাইছে বাংলা। আর উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার জবাব দেওয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার মানুষ অবহেলিত। আগামী ৮ ডিসেম্বর উত্তরকণ্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। দল পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে।
Partha Pratim Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।