#শিলিগুড়ি: দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর কাল রবিবার শিলিগুড়ি ফিরছেন বিমল গুরুং। কালই শিলিগুড়িতে প্রত্যাবর্তনের সভায় যোগ দেবেন তিনি। সকালে এনজেপি স্টেশনে নেমেই সরাসরি পৌঁছবেন সভাস্থলে। শিলিগুড়ির ইন্দিরা গান্ধী ময়দানে সভা বিমলপন্থী মোর্চার।
এই ময়দানেই ২০১৮-তে পাহাড়ের বাইরে সমতলে প্রথম সভা করে গুরুংরা। সেইবার সভাস্থলের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বিনয় তামাং। এবারে সেই বিনয় তামাং বিপরীত শিবিরে। বিমল এবং বিনয়ের সরাসরি লড়াইয়ের মাঝেই গুরুংয়ের সভা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই শিবিরের লড়াইয়ে ক্রমেই ডিসেম্বরের শীতে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াচ্ছে শৈলশহরে। সভা, পালটা সভায় উত্তপ্ত পাহাড়। কাল গুরুং কী বার্তা দেন, সেদিকেই চেয়ে পাহাড় থেকে সমতল। পাহাড়ে দুই শিবিরের লড়াইয়ে সমতলে কোন রাজনৈতিক দল এর ফায়দা তুলবে সেদিকেও নজর রাজ্য রাজনীতির।
পদ্ম শিবির ছেড়ে গুরুং আজ ঘাস ফুলে। আবার বিনয় তামাংও ঘাস ফুল শিবিরে। কিন্তু পাহাড়ে এক ইঞ্চি জমি কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। আজও সভাস্থল পরিদর্শনে এসে গুরুংপন্থী মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি সাফ বলেন, "একুশের লড়াইয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আমরা। লক্ষ্য ধোঁকাবাজ বিজেপিকে উত্তরবঙ্গে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া। তার নেতৃত্ব দেবেন বিমল গুরুং। গোর্খাদের নেতা বিমল গুরুং। কাল তাঁকে পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের গোর্খা জনজাতি সাদরে বরণ করবে। তাঁর জন্যে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।"
কাল গুরুং সভামঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন পাহাড়বাসীদের উদ্দেশ্যে সেই দিকে চেয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। এই অবস্থায় আগামী ১৫ ডিসেম্বর দু'দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কি বার্তা দেন, তারও প্রহর গুনছে পাহাড়বাসী। ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে জনসভায় যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
লকডাউনের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রথম সভা উত্তরে। এদিকে কালকের সভায় যোগ দিতে আজই কালিম্পং, ডুয়ার্স সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে গুরুংপন্থী মোর্চা কর্মী, সমর্থকেরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন শিলিগুড়িতে।