#দার্জিলিং: তিনিই পাহাড়ের নেতা। তিনি একুশের নির্বাচনে পাহাড়ের তিনটে আসন তো বটেই, সমতলের তরাই ও ডুয়ার্সের একাধীক আসনে তৃণমূলকে জেতানোর কারিগর। তা আজ আবারও বোঝালেন তিনি। তিনি বিমল গুরুং! আজ সিটং, লাটপাঙচারের জনসভা থেকে সেই বার্তাই স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। একুশের কুরুক্ষেত্রের লড়াইয়ে বিজেপিকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হবে, আজকের মঞ্চ থেকে একাধীকবার বলেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। ২০০৯ সাল থেকে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে আসছে তারা। তিন তিন বার সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। অথচ তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির একটিও মেটায়নি। তাই এবারে বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই। তা সাফ ঘোষণা করেন গুরুং। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি স্রেফ ধোঁকা দিয়েছে গোর্খাদের সঙ্গে। আবার নির্বাচন আসছে। আবারও প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে হাজির গেরুয়া শিবির। তবে এবারে আর ভুল পথে পা ফেলবে না তারা।নিজেদের ভুল দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছি। বলেন গুরুং। সেইসঙ্গে বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের লক্ষ্য করে চড়া মেজাজে বলেন, জিটিএ'র ক্ষমতা ধরে রাখতেই ওরা তৃণমূলের সঙ্গে। নইলে বিজেপি'র সঙ্গে হাত মেলাবে। জিটিএ'র নির্বাচন হলে প্রমাণ হয়ে যাবে পাহাড় কার? যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। এতেই প্রমাণ করতে চাইলেন পাহাড়ের রাজনীতিতে তিনিই শেষ কথা। গতকালের অনীত থাপার নেতৃত্বে পদযাত্রাকে কটাক্ষ করে বলেন, মাত্র ১৬ কিলোমিটারের পথ। তাও আবার কখোনো গাড়িতে, কখোনো হেঁটে যোগ দেন অনীত। আর আমি ৩৫ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছি। ওরা পাহাড়বাসীর আবেগকে বিক্রি করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে পাহাড়ের অধিকাংশ মানুষ তাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে নিজেদের দমেই উত্তরবঙ্গে অন্তত ১৮টি আদন জেতাই এখন চ্যালেঞ্জ। তবে পাহাড়ের তিন আসনে কোন প্রতীকে লড়বে তারা? জবাবে রোশন গিরি জানান, প্রতীক পরে দেখা যাবে। এদিকে বিমল এবং বিনয় দুই যুযুধান গোষ্ঠীর লড়াইয়ে তৃণমূলের কতটা লাভ হবে? সেটাই বড় প্রশ্ন। আর তাই শীঘ্রই দুই শিবিরকে নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Darjeeling