#মালদহ: দেশপ্রিয় পার্কের ধাঁচে বড় দুর্গা। মালদহের শতবর্ষ প্রাচীন গোলাপট্টি সর্বজনীনের এবারের চমক ৫১ ফুটের দুর্গা। শহরবাসীর অধীর আগ্রহ থাকলেও আদৌ পুজোর অনুমতি মিলবে কি না তা নিয়ে শুরু জল্পনা। নেপথ্যে কাজ করছে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়া।
বিশাল তার আকৃতি। আয়োজনও বিশাল। মালদহের ১১৭ বছরের পুরনো গোলাপট্টি সর্বজনীনের এবারের চমক বড় দুর্গা। ফাঁকা জমিতে বিশাল কাঠামো বেঁধে চলছে প্রস্তুতি। দেশপ্রিয় পার্কের মতোই মালদহের বাসিন্দাদের কাছে বড় দুর্গা হাজির করতে চলেছেন উদ্যোক্তারা। পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। যদিও উদ্যোক্তাদের চেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর ঝামেলায় পুজোর অনুমতি পাওয়া নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর মত এখানেও ভিড় সামাল দেওয়ার পরিকাঠামোয় গলদ থাকবে না তো? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। সমস্ত সতর্কতা মেনেই আয়োজন হচ্ছে, দাবি তাঁর।
পুজোর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যদিও এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি প্রশাসন। তৃণমূলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব কাটিয়ে বড় দুর্গা কি আদৌ মন্ডপে শোভা পাবে? তা সময়ই বলবে।