# মালদহ: মালদহের ভুতনিতে নদী ভাঙন। নদীগর্ভে ৫০- ৬০ বিঘা জমি। হীরানন্দপুরের কোশীঘাট এলাকায় চলছে ভাঙন। ভাঙনের কোপে পড়তে পারে নদী বাঁধ, আশঙ্কা স্থানীয়দের। কিছু এলাকায় বাঁধের খুব কাছে পৌঁছেছে নদী। বাঁধ বাঁচাতে রাত থেকে ভাঙনরোধের চেষ্টায় সেচ দপ্তর। বাঁশ ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা। ভাঙনের মুহূর্তে "জরুরি" কাজ নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। ভাঙন রোধের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়কের। এভাবে ভাঙনরোধ সম্ভব নয়, মত স্থানীয়দের।
ভাঙন থেকে বাঁধ রক্ষা পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত নয় সেচ দফতর। ভাঙন ঠেকাতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে, দাবি সেচ দফতরের। ফের ভাঙ্গন আতঙ্ক মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনি থানার হীরানন্দপুরে। শুক্রবার বিকেল থেকে আচমকাই ভাঙন শুরু হয় গঙ্গার কোশিঘাট ঘাট ও কেশবপুর কলোনি এলাকায়। প্রচুর জমি চলে যায় গঙ্গা গর্ভে। এখনো বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বেশকিছু জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, গঙ্গা যেভাবে পার ভেঙে নদী বাঁধের দিকে এগিয়ে আসছে তাতে আগামী দিনে ভূতনির বিপদ হতে পারে। বিপন্ন হতে পারেন প্রচুর মানুষ । একই আশঙ্কা সেচ দপ্তরের। তাই, তড়িঘড়ি শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয় ভাঙন রোধের কাজ। শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় বাঁশঝাড় ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙনের গতিরোধের চেষ্টা চালায় সেচ দপ্তর। এদিন বেলার দিকে ভাঙনের তীব্রতা খানিকটা হলেও কমে আসে। তবে বেশ কিছু এলাকায় বর্তমানে গঙ্গা নদী থেকে নদী বাঁধের দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ছয়-সাত মিটার। ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হলে চরম বিপদের আশঙ্কা।এদিকে নদী ভাঙন চলার মাঝেই ভাঙন রোধ এর কাজের দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মানিকচকের কংগ্রেস বিধায়ক মোত্তাকিন আলম এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রত্যেক বছর নদী ফুঁসে ওঠার সময় ভাঙন রোধের কাজ হয়। অথচ সুখা মরসুমে যে সময় কাজ করা সুবিধাজনক সেই সময় ভাঙন রোধের কোনো উদ্যোগই চোখে পড়ে না। নদী ভাঙন শুরু হলে "জরুরি" তকমা দিয়ে নিম্নমানের কাজ হয়। সেই কাজ টেকেউ না, আবার সরকারি টাকাও কার্যত জলে যায়। এনিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস বিধায়ক। এদিকে কংগ্রেস বিধায়ককে পাল্টা কটাক্ষ করেন মানিকচকের তৃণমূল নেতা তথা মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডল। তার পাল্টা অভিযোগ, মানুষের বিপদের সময় দুর্নীতির কথা বলে রাজনীতি করছেন কংগ্রেস বিধায়ক। অথচ, ভাঙনরোধের সমস্যা মেটাতে বিধায়কের কোনো উদ্যোগ নেই। এমনকি বিধায়ক তহবিল থেকে কখনো টাকাও বরাদ্দ করেননি বিধায়ক। এদিকে রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই সাধারণ মানুষ অবশ্য চাইছেন ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী কাজ হোক, যাতে ভিটেমাটি হারানোর ভয় তাড়া করে না বেড়ায়।
Sebak DebSharma
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Maldah, River erosion