#শিলিগুড়ি: লাগাতার বৃষ্টির জের। ১০ নং জাতীয় সড়কে ছোটো, বড় মিলিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় ধস। দীর্ঘক্ষন বন্ধ ছিল বাংলা এবং সিকিমের এই লাইফ লাইন। চলতি বছরেও একাধীকবার ধস নামে এই জাতীয় সড়কে। কালিম্পংয়ের ২৭ মাইল এবং সিকিমের সীমানা রংপোর কাছেও ধস নামে। তবে দ্রুত পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা ধস সংস্কারের কাজ শেষ করে। সবচাইতে বড় ধস নামে সেবকে। কালিবাড়ির আগেই বড় ধস। পাথর ভেঙে পড়ে ৩১ নং জাতীয় সড়কে। দু'পাশে তখন গাড়ির লম্বা লাইন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা। বৃষ্টির জন্যে শুরুতে ধস সরানোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। বৃষ্টি কমলে দ্রুত গতিতে দুটি বুলডোজার দিয়ে কর্মীরা ধস সংস্কারের কাজে নেমে পড়ে। টানা ৪ থেকে ৫ ঘন্টা জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল থমকে পড়ে। তারপর ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল শুরু করে। বহু মানুষ দূর্ভোগে পড়ে। গত বছরও একই জায়গায় ধস নামে।
এর আগে ১০ নং জাতীয় সড়কে ধসপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ছিল শ্বেতীঝোড়া। এখন সেখানে পাহাড় কেটে রাস্তা চওড়া করে দেওয়ায় আগের মতো আর ধস নামে না। তবে এবারে বেশী ধস নেমেছে ২৭ মাইলে। জাতীয় সড়ক অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার ফলে ওই এলাকা দিয়ে একমুখী যান চলাচল করছে। অন্যদিকে ধসে জেরবার মিরিক মহকুমার পাণিঘাটা এলাকাও। চলতি বছরে এনিয়ে তিন তিন বার ধস নামলো একই এলাকায়। এক জায়গায় নয়, ২ থেকে ৩ জায়গায় ধস নামে। রাস্তার পাশের গাছের মাটিও আলগা হয়ে যাওয়ায় উপড়ে পড়ে। দিনভর পাণিঘাটার সঙ্গে দুধিয়া, গাড়িধুরার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে ধস সরানোর কাজ শুরু করে। দূর্ভোগে পড়েন এলাকার বেশ কয়েকটি পাহাড়ী গ্রাম। অনেকটা ঘুরপথে বাগডোগরা, মাটিগাড়া, খাপরাইল হয়ে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এর স্থায়ী সমাধান দাবী করেছেন। একেই করোনা। তারওপর ধসে জেরবার এলাকাবাসী।