#কালিয়াগঞ্জ: প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ২৫০ জন বিজেপি নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। কার্যকর্তারা পদত্যাগপত্র ইতিমধ্যে বিধানসভার আহ্বয়কের মাধ্যমে জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদিও বিজেপি জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এই পদত্যাগপত্র পৌছায়নি। প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে নেই। পদত্যাগপত্র হাতে পেলেই রাজ্য স্তরের নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
এবারে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর জেলা জুড়ে কর্মীদের ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে সৌমেন রায়কে। সৌমেন রায় কে, কোথায় তাঁর বাড়ি , কী তাঁর পরিচয় এ বিষয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে স্থানীয় এবং জেলা নেতৃত্ব। আগুনের মধ্যে ঘি ঢেলেছে সৌমেনবাবুর স্ত্রীর এক ভিডিও বার্তা। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জের শহর থেকে গ্রাম, ছাত্র, যুব, মহিলা মোর্চার সমস্ত পদাধিকারিরা এক যোগে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার আহ্বায়কের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন। এই গণ পদত্যাগের ফলে কালিয়াগঞ্জের বিজেপি দলীয় কার্যালয় বন্ধ। আহ্বায়ক রানা প্রতাপ ঘোষ গণ পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েই জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ির কাছে ই-মেইল করে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন।
কালিয়াগঞ্জ ২৮ নম্বর মন্ডল সভাপতি কার্তিক পাহানের একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে প্রার্থীকে নিয়ে৷ যাকে কেউ চেনেন না তাকে প্রার্থী হিসেবে তারা মেনে নেবেন না, বলছেন তাঁরা। সেই কারণেই তাঁরা গন ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কার্যকর্তারা। তবে এরপরও বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায় কালিয়াগঞ্জে আসেন, সকলের সঙ্গে দেখা করতে৷ তিনি এলে মহিলারা তাকে বিভিন্নভাবে বাধা দেবেন। জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি জানান, গন ইস্তফাপত্র তাঁর হাতে আসেনি। এলে তিনি এই বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের নজরে আনবেন। যেহেতু প্রার্থী নির্ধরনের দায়িত্ব তাঁর ছিল না, তাই প্রার্থী পরিবর্তনও তিনি করতে পারবেন না, বলছেন বিশ্বজিতবাবু। রাজ্য নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা সকলকেই মেনে চলতে হবে, স্পষ্ট কথা তাঁর৷