#শিলিগুড়ি: প্রশাসনিক ব্যস্ততা তো রয়েছেই। প্রত্যহ অফিস করতে হচ্ছে। এলাকায় কি সমস্যা রয়েছে তা মেটানো থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো সব দিকেই সমান নজর তাঁর। তিনি সঞ্জু গুহ মজুমদার। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার বিডিও। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি সোমবার অন্য বিডিওকে পেল গ্রামবাসীরা। মানবিক বিডিও।
সোমবার নিজেই সারেন বাজার। তারপর নিজের হাতেই করলেন রান্না। একটা বা দুটো পদ নয়। একাধিক পদ রান্না করলেন নিজেই। সঙ্গে সহযোগিতা করলেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণাদেবী। কী রাঁধলেন বিডিও? ভাত, ডাল, পটল চিঙড়ি, মাংস। শেষ পাতের চাটনিও। সকাল সকাল রান্না সেরে কাজে বেরোনর ফাঁকে পথে নামলেন বিডিও। সমাজ সেবায়। বিধাননগর এলাকার ভবঘুরেদের নিজের হাতে তুলে দিলেন রকমারি পদ! সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও খাওয়ালেন বিডিও।
বিধাননগরে প্রতিদিনই ভবঘুরেদের জন্যে কেউ না কেউ এগিয়ে আসছেন। নিরামিষ খাবার নয়। এক এক দিন এক এক মেনু! কোনোদিন ফ্রায়েড রাইস আর চিকেন। আবার কোনোদিন মটন, ডাল, ভাজা, সবজী আর ভাত। আবার কোনোদিন ইলিশ ভাঁপা, আবার কাতল মাছের ঝোল আর ভাতও খাওয়ানো হয়েছিল। বিডিও জানান, প্রতিদিনই স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসছেন অভুক্ত ভবঘুরেদের খাওয়াতে। তাই আজ নিজেই এগিয়ে এলাম। আগামী দিনেও যাতে অন্যেরা এভাবে এগিয়ে আসেন, তাহলে ভালোই থাকবে ভবঘুরেরা।
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ দোকানপাট। রাস্তায় দেখা নেই পথ চলতি মানুষের। তাই লকডাউনে শুরুতেই অসহায় হয়ে পড়েছিল বিধাননগরের ভবঘুরেরা। কিন্তু বিধাননগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্তারা পথে নামতেই মেলে ওদের মুশকিল আসান। সোসাইটির সদস্যদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন এলাকার ব্যবসায়ী থেকে সাধারন মানুষেরা। অনেকেরই জন্মদিন পালিত হয় বিধাননগরের রাস্তায়, ভবঘুরেদের সঙ্গে। এবার বিডিও এগিয়ে আসায় স্থানীয়রা আরো উৎসাহিত হবে বলেই মনে করছেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা।