জলপাইগুড়ি: নেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, বারবার ঝুঁকি নিয়েই প্রসব করাতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।পরিকাঠামো নেই, তবুও চিকিৎসকের অগাধ সাহস এবং রোগীর পরিবারের ভরসার জেরে গ্রামীণহাসপাতালেই যমজ মেয়ে সন্তানের জন্ম দিল প্রসূতি। মঙ্গলবার রাত প্রায় ১২.২০-তে প্রথম তারপরই ২৫ মিনিটের ফারাকে দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ধূপগুড়ি ব্লকের মধ্য ডাউকিমারির বাসিন্দা যুথিকা রায়।
দুই সন্তান সুস্থ ও স্বভাবিক ভাবে ভূমিষ্ঠ হয়েছে, এতে হাসপাতালে পরিষেবা এবং চিকিৎসকের ভূমিকা খুশি প্রসূতির পরিবার। তবে বুধবার সকাল হতেই তাদের জলপাইগুড়ি হাসপাতাল মাতৃ মা-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দূরত্ব অনেকটাই। আর প্রসূতিকে যে অবস্থায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়েছিল,তাতে জলপাইগুড়ি রেফার করা যেত না।
আরও পড়ুন: কলকাতার সিবিআই দফতরে শীর্ষ কর্তারা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে? তোলপাড় বাংলা
এমনকী পথেই কিছু হয়ে যেতে পারত। তাই ঝুঁকি নিয়ে জলপাইগুড়ির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনেই পরামর্শ নিয়ে প্রসব করানো হয়। তবে বাচ্চা দুটি ওজনও কম ছিল। সকাল হতেই তাদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্যে জলপাইগুড়ি পাঠাতে হয়েছে। তবে প্রসব করানো থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত মা এবং বাচ্চা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে কার নাম, এবার কাকে ডাক? নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার বিরাট মোড়
সেই কারণেই রেফার করা হয়েছে।এর আগেও ধূপগুড়ি ঘোষ পাড়ার এক মহিলা যমজ সন্তান ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রসব হয়। সেখানেও ঝুকি নিয়ে চিকিৎসকরা দায়িত্ব নিয়েছিল।এবারও একই সাহস দেখিয়ে কুর্নিশ কুড়িয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি সদ্যোজাত সন্তানদের বাবা ভাস্কর রায়। বিএমওএইচ অঙ্কুর চক্রবর্তী ও কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রণয় দাস ও নার্সদের সাহসকে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
——সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla News, West Bengal news