#শিলিগুড়ি: কমরেড শঙ্কর বলে ডাকলেও কোনও আপত্তি নেই বিজেপির। সদ্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু নামের আগে এতদিনে কমরেড তকমা তো লেগেই রয়েছে। যদিও তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই বিজেপির। এদিন যুব নেতা শঙ্কর প্রসঙ্গে শিলিগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে তা স্পষ্ট করে দেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তাঁর দাবি, কমরেড কোনও নিষিদ্ধ শব্দ নয়। কমরেড মানে সহযোদ্ধা।
তিনি এমনও বলেন, এবারের নির্বাচন ঐতিহাসিক হবে। ১০০-১৫০ বছর বাদে ইতিহাস লেখা হলে সেখানে জায়গা পাবে একুশের নির্বাচন। শুধু ক্ষমতা বদলই নয়, বাংলা কোন পথে চলবে, ফের দেশ ভাগ হবে কিনা তা জানা যাবে এবারের নির্বাচনে। এদিন শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া এবং ডাবগ্রামের চার বিজেপি প্রার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিকে, আজই কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন শিলিগুড়ির বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ।
"ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়াই নয়। লড়াই দুই রাজনৈতিক দলের। আর আমি রাস্তার ছেলে। রাস্তার ছেলেদের কাছে কোনও চ্যালেঞ্জই বড় নয়। কে প্রার্থী তা নিয়ে চিন্তিত নই। বিধানসভায় জেতার পাশাপাশি লক্ষ্য শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করা।" প্রচারের ফাঁকে একথা বলেন বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ। এদিন দেওয়ালও লেখেন তিনি। ভোট প্রচারে বেরিয়ে আজ সটান কংগ্রেসের ওয়ার্ড কার্যালয়ে যান বিজেপি প্রার্থী! শিলিগুড়ির ১৬ নং ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেস কার্যালয়ে যান বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন দলীয় নেতা, কর্মীরাও। জমিয়ে আড্ডাও হল। "ও আমার ওয়ার্ডে প্রচারে এসেছে। কার্যালয়ে এসছে। এটাই শিলিগুড়ির রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তবে ওকে সমর্থনের প্রশ্ন নেই। কেননা ও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। আমি অন্য দলের প্রতিনিধি। কিন্তু ওর কোনো বিপদ হলে আমি যাবো।" বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলার পর মন্তব্য কংগ্রেস নেতা তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সুজিয় ঘটকের।
শঙ্করের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দাগেন অশোক ভট্টাচার্য। "গতকাল রাতেই আদি বিজেপি নেতারা আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের ভোট আমিই পাবো। লক্ষ্য গতবারের চেয়ে এবার বেশী ব্যবধানে জেতা। দলীয় কর্মী, সমর্থকেরা সেই জেদ নিয়েছে। ওর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করব না। পুরসভা দখল কেন ওর কোনো স্বপ্নই সফল হবে না। তৃণমূূল পারেনি। বিজেপি কোন ছাড়!" প্রচারে বেড়িয়ে বললেন শিলিগুড়ির সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য। আর একদা সহযোগী বিজেপি প্রার্থী শঙ্করের নাম শুনলেই বলছেন, ''ধুর, ধুর, ধুর।''