#জলপাইগুড়ি: গরুমারা অভয়ারণ্যের বিন্নাগুড়ি এলাকায় এক মহিলা হাতির মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক ছড়াল। এক পক্ষের মতে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে হাতিটিকে। যদিও এই অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন বন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
বন দফতর সূত্রে খবর, গরুমারা অভয়ারণ্যের বিন্নাগুড়ি এলাকার হলুদবাড়ি চা-বাগান এলাকায় আজ সকালে একটি মহিলা হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, "ওই এলাকার হাইটেনশন লাইনের তার ঝুলে ছিল। সেই লাইনে বিদ্যুস্পৃষ্ঠ হয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা তদন্তকারীদের।" ওই কর্তা বলেন, "আমরা নিয়ম মেনে হাতিটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলা যাবে।"
বন দফতরের হিসেব বলছে, হাতির মৃত্যুর জন্য মূলত দায়ী লো-টেনশন বিদ্যুৎ লাইন। বনের মধ্যে না হলেও বনের সীমানায় বহু গ্রামে খোলা বিদ্যুতের তারের বেড়া তৈরি করে রাখা হচ্ছে, যাতে বিদ্যুস্পৃষ্ঠ হয়ে বেশ কিছু হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। চা-বাগানের বাইরের শ্রমিক মহল্লাতেও এমন বিদ্যুতের বেড়া তৈরি করা হয়েছে।এই সব জায়গায় হাতির মৃত্যু আটকাতে এবার তাই হাতির আনাগোনার করিডর চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন দফতরের সচিব সুরেশ কুমারের নেতৃত্বে সম্প্রতি বিদ্যুৎ দফতরের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তাতে ঠিক হয়েছে, বন এবং বিদ্যুৎ দফতর পরস্পর সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে। বন দফতর প্রথমে জিআইএস ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে হাতির করিডর ঠিক করবে। এ বার ওই চিহ্নিত করিডরে যাতে কম উচ্চতায় যাতে কোনও খোলা বিদ্যুতের তার না থাকে, তা নিশ্চিত করবে বিদ্যুৎ দফতর।
এ ক্ষেত্রেও ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, সেটাই এ বার খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
SHALINI DATTA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Elephant Death, Garumara